জল জীবন মিশনে গাফিলতি, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ মমতার

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে জল জীবন মিশনের (Jal Jeevan Mission) কাজের উপর নতুন করে নজর দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য প্রশাসনের সমস্ত…

Jal Jeevan Mission

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে জল জীবন মিশনের (Jal Jeevan Mission) কাজের উপর নতুন করে নজর দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য প্রশাসনের সমস্ত সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির সঙ্গে বৈঠক করে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, অনেক জায়গায় নল পাতা হলেও, প্রয়োজনীয় জল সরবরাহ এখনও হয়নি। এর পেছনে তিনি যে গাফিলতি রয়েছে, সে বিষয়ে পরিষ্কার সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, যারা মাটি পরীক্ষা না করে প্রকল্পের বিস্তারিত রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরি করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালানোর পাশাপাশি প্রয়োজনে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ (punitive-action) নেওয়া হবে। এই কাজের দায়িত্ব তিনি এসটিএফ এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে দিয়েছেন।

জল জীবন মিশন পরিকল্পনা অনুযায়ী রাজ্যের প্রায় ১.৭৫ কোটি গ্রামীণ বাড়িতে পানীয় জল সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমানে এটি মাত্র ৯৩.৫০ লক্ষ পরিবারে পৌঁছেছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের মধ্যে প্রকল্পটি সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে তা সম্ভব নয়। তাই, তিনি নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন—২০২৫ সালের এপ্রিলের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করতে হবে।

   

এ দিন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও অভিযোগ করেছেন যে, কিছু এলাকায় পানীয় জল সরবরাহের নল কেটে অন্য কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। তার মতে, এ ধরনের কার্যকলাপের পিছনে স্বার্থের লুকোনো কারণ থাকতে পারে। এই পরিস্থিতি রুখতে রাজ্য পুলিশ এবং ডিজিকে বিষয়টির নজরদারি চালাতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেছেন, এই কাজের মধ্যে কোনো গাফিলতি বা অবহেলা সহ্য করা হবে না।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে, এই প্রকল্পের কাজের তদারকি করার জন্য একাধিক দফতরকে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি, অর্থ, ভূমি, পঞ্চায়েত, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরগুলিকে একযোগে কাজ করতে বলা হয়েছে। কোনো পঞ্চায়েত বা এলাকার মানুষকে নল বসানোর কাজে বাধা দেওয়ার অধিকার নেই, এমনও স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও, জলের গুণমান নিয়মিত পরীক্ষার নির্দেশও দিয়েছেন মমতা। তিনি বলছেন, শুধু পাইপ বসানোই নয়, জলের মানও নিশ্চিত করতে হবে যাতে জনগণ নিরাপদ ও সুস্থ জল পায়।

এভাবে জল জীবন মিশন প্রকল্পের কাজের গতি বাড়ানোর জন্য প্রশাসন একাধিক পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতার এই উদ্যোগ যে গ্রামীণ অঞ্চলে পানীয় জল সরবরাহের কাজকে আরও দ্রুত করতে সাহায্য করবে, তা আশা করা যাচ্ছে।