যাদবপুরকাণ্ডে আদালতের হস্তক্ষেপ, ইন্দ্রানুজের অভিযোগে FIR

যাদবপুরকান্ডে (Jadavpur University) ব্রাত্য বসু, অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় এবার এফআইআর দায়ের করা হল। প্রথম বর্ষের পড়ুয়া…

Jadavpur University Incident: Court Intervention, FIR Filed Based on Indranuj's Complaint

যাদবপুরকান্ডে (Jadavpur University) ব্রাত্য বসু, অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় এবার এফআইআর দায়ের করা হল। প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ইন্দ্রানুজ রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে এই এফআইআর দায়ের করা হয়। পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগ জানালেও, প্রথমে এফআইআর গ্রহণ করা হয়নি। পরে আদালতের হস্তক্ষেপে অভিযোগ রুজু হয়েছে।

ঘটনাটি গত শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটেছিল। ইন্দ্রানুজ রায় তার অভিযোগে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের মধ্যে এক সংঘর্ষে তিনি আক্রান্ত হন। এই ঘটনায় পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। এর পর, ছাত্রদের পক্ষে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য হাইকোর্টে আবেদন করেন। তিনি দাবি করেন, পুলিশ ছাত্রদের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনলেও, তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর গ্রহণ করা হয়নি।

kolkata24x7-sports-News

   

বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘এফআইআর নেওয়া হয়নি কেন?’ এরপর আদালত নির্দেশ দেয়, ইন্দ্রানুজ রায়ের অভিযোগকে এফআইআর হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। আদালতের এই নির্দেশের পর, পুলিশ শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র এবং আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অভিযোগে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে মারধর, শ্লীলতাহানি এবং হুমকি দেওয়ার মতো একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এফআইআর দায়েরের পর তদন্ত শুরু হবে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর, বিষয়টি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। ছাত্র সংগঠনগুলির মধ্যে চরম ক্ষোভ রয়েছে। তারা দাবি করছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। তবে, সরকার পক্ষের দাবি, ঘটনাটি ছোট একটি বিষয় ছিল, কিন্তু আদালতের হস্তক্ষেপের পরে বিষয়টি বড় আকারে প্রকাশ পেয়েছে।

এই ঘটনায় রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার উপরও প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই মনে করছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের উচিত ছিল তড়িঘড়ি পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত না হয়ে ওঠে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা তীব্রভাবে নজর কেড়েছে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কী পরিস্থিতি তৈরি হবে, তা সময়ই বলবে।