বঙ্গ বিজেপিতে ব্রাত্য, মমতাকে ‘মা’ ডাকা ভারতী ক্ষুব্ধ !

বর্ণময় চরিত্র ভারতী ঘোষ (Bharati)। তিনি ছিলেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ পুলিশ অফিসার। তারপরে নিজের ভূমিকা বদলে এসেছিলেন রাজনীতিতে। মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ডেকে ছিলেন মা বলে। তারপর বেশ কিছু…

Bharati nowhere in BJP

বর্ণময় চরিত্র ভারতী ঘোষ (Bharati)। তিনি ছিলেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ পুলিশ অফিসার। তারপরে নিজের ভূমিকা বদলে এসেছিলেন রাজনীতিতে। মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ডেকে ছিলেন মা বলে। তারপর বেশ কিছু সময় বেপাত্তা ভারতী। ২০১৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারী অজ্ঞাতবাস ভেঙ্গে মুকুল রায়ের হাত ধরে তার বিজেপিতে আগমন।

তবে পশ্চিমবঙ্গে নয় তিনি পার্টি জয়েন করেন দিল্লি থেকে। ২০১৯ সালেই ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটেও দাঁড়ান মুকুল ঘনিষ্ট ভারতী। সোমবার তার সোশ্যাল মিডিয়ায় করা একটি পোস্টে তিনি লেখেন বঙ্গ বিজেপি আয়োজিত জাতীয় গ্রন্থাগারে নারী শক্তি সম্মেলনে তাকে ডাকা হয়নি। স্বভাবতই এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিজেপি নেত্রী।

   

তিনি তার পোস্টে বঙ্গ বিজেপি তাকে ভুলে গেছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে তাকে ব্রাত্য করার পিছনে কারুর অদৃশ্য হাত থাকতে পারে। তার এই পোস্টে বিজেপির অন্দরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি তিনি ছিলেন মুকুল ঘনিষ্ঠ। কাজেই মুকুল রায় অসুস্থ হয়ে যাবার পরে বঙ্গ বিজেপি তাকে ব্রাত্য করে।

তার সঙ্গে উস্কে দেয় বিজেপির অন্দরে আদি-নব্য দ্বন্দ্ব। ২০১৯ এ ঘাটাল থেকে দাঁড়ালেও তারপর তাকে সরিয়ে সেই জায়গায় আনা হয় আরেক সেলিব্রিটি রাজনীতিবিদ হিরণকে। সমালোচকদের মুখে এই নিয়ে আবার মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ বলছেন ভারতীর উচিত শুভেন্দু অধিকারীর সাথে কথা বলা। আবার রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে বিরোধী দলনেতাই রাজনীতি করে ব্রাত্য করেছে তাকে।

তবে অনেকে কটাক্ষ করে বলেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনো করা এই আইপিএস অফিসারের আজ এই দৈন্যদশা। আবার অনেকে বলেছে মমতাকে মা ডেকেছিলেন তিনি, তার উচিত দলবদলুদের দলে নাম লিখিয়ে তৃণমূলে চলে যাওয়া। তবে বিজেপির শীর্ষ স্থানীয় নেতারা এখনো এই বিষয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানান নি।

Advertisements

জামিন পেলেন ব্রাত্যের গাড়ি হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত হিন্দোল

সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপি হোক বা শাসক ঘাসগুলি শিবির। প্রত্যেকেই নিজের স্ট্রাটেজি সাজাতে ব্যাস্ত। এই স্ট্রাটেজির মধ্যে ভারতী কি বেমানান নাকি বঙ্গ বিজেপি সত্যি আর পিছন ফিরে তাকাতে চায় না এই নিয়েও প্রশ্ন করেছেন নেটিজেনরা।

আবার অনেকে বলেছেন এটা বিজেপির ট্র্যাডিশন। যেভাবে দিলীপ ঘোষের মত নেতাকে বিজেপি একঘরে করেছে তা দেখলেই বোঝা যায় বিজেপি একটি স্বৈরাচারী দল যেখানে স্রোতের প্রতিকূলে গেলেই তারা তাদের নেতা নেত্রীদের ভুলে যায়।