গেদে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ট্রেন পাঠাল ভারত

বাংলাদেশে (Bangladesh) তীব্র অশান্তির মধ্যে, যখন সেখানকার নাগরিকরা ভারতে আসতে পারছেন না এবং ভিসা পেতে সমস্যায় পড়ছেন, তখনও ভারত তার আন্তর্জাতিক চুক্তি মেনে প্রতিবেশী দেশকে…

Bangladesh Train Gede border

বাংলাদেশে (Bangladesh) তীব্র অশান্তির মধ্যে, যখন সেখানকার নাগরিকরা ভারতে আসতে পারছেন না এবং ভিসা পেতে সমস্যায় পড়ছেন, তখনও ভারত তার আন্তর্জাতিক চুক্তি মেনে প্রতিবেশী দেশকে সাহায্য করতে এক ধাপ এগিয়ে গেল। গত বৃহস্পতিবার সকালে, গেদে সীমান্ত (Gede border) দিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছে গেল একটি মালগাড়ি, যা ভারতীয় ট্রেনের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল।

Advertisements

এই মালগাড়ির মধ্যে ৭০ থেকে ৮০টি বগি ছিল এবং তা ছিল খালি ট্রেন (Train)। সূত্রের খবর, ভারত এবং বাংলাদেশ দু’দেশের মধ্যে একটি বৈদেশিক চুক্তি রয়েছে, যার অধীনে ভারত নিয়মিতভাবে বাংলাদেশে মালগাড়ি রফতানি করে। এই চুক্তির আওতায়, ভারত Bangladeshকে আরও মালগাড়ি সরবরাহ করবে। একে “চুক্তির আওতায় কাজ চালিয়ে যাওয়ার” উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

   

এটি শুধু মালগাড়ি নয়, ভারত থেকে বাংলাদেশে আরও বিভিন্ন পণ্যও আমদানি হয়। এর মধ্যে রয়েছে খাদ্যদ্রব্য যেমন আলু, ডিম, ফল, দুগ্ধজাত দ্রব্য এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী। এই সমস্ত পণ্য বাংলাদেশে পাঠানো হয় যাতে তাদের বাজারে প্রয়োজনীয় জিনিসের অভাব না হয়।

এদিকে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন অত্যন্ত উত্তপ্ত। হাসিনা সরকারের পতনের পর, মোহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই দেশটির পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক অশান্তি, বাড়ি ভাঙচুর এবং মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করার পর পরিস্থিতি আরও চরমে পৌঁছেছে। এই অশান্তির মধ্যে, প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের ভারতে আসতে সমস্যা তৈরি হয়েছে, এবং হিন্দু সন্ন্যাসীদের ভারতে প্রবেশেও বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

তবে, এই অশান্তি সত্ত্বেও ভারত তার আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে সরে আসেনি এবং বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। গেদে সীমান্তে ট্রেন পাঠানোর ঘটনাটি ভারতের কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং প্রতিবেশী দেশের প্রতি সহযোগিতার নিদর্শন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এছাড়া, ভারতে আসার পথে বাংলাদেশি নাগরিকদের যাতায়াতে অচলাবস্থা সৃষ্টি হলেও, ভারতের পক্ষ থেকে মানবিক সাহায্য এবং দুই দেশের সম্পর্ক বজায় রাখতে এই ধরনের উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।