পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে কয়েকঘন্টার মধ্যেই কলকাতা সহ ভাসবে এই সমস্ত জেলাগুলি

ভারতের আবহাওয়া দফতর (IMD) সম্প্রতি জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের (Weather Update)ওপর একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে, যা আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের (Weather Update) সম্ভাবনা তৈরি…

"Heavy Rain Expected from Next Thursday Due to Low-Pressure System

ভারতের আবহাওয়া দফতর (IMD) সম্প্রতি জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের (Weather Update)ওপর একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে, যা আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের (Weather Update) সম্ভাবনা তৈরি করবে।

ডিসেম্বর মাসে শীতকালীন আবহাওয়ার (Weather Update)মধ্যে এমন বৃষ্টিপাত কিছুটা অস্বাভাবিক হলেও, নিম্নচাপের (Weather Update)প্রভাবে তা ঘটছে। এই নিম্নচাপটি দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে এবং এটি ধীরে ধীরে পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাবে।

   

IMD এর পূর্বাভাস অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে(Weather Update) সৃষ্ট নিম্নচাপটি উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং এটি দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলা, বিশেষত কলকাতা, উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, হুগলি এবং নদীয়া জেলায় বৃষ্টিপাতের কারণ হতে পারে। বিশেষ করে, ১১-১২ ডিসেম্বরের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চল এবং কিছু অভ্যন্তরীণ জেলা গুলিতে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।

যেহেতু এটি শীতকালীন সময়, তাই এই বৃষ্টিপাত শীতের অনুভূতিকে আরও তীব্র করতে পারে। অনেক সময় শীতের শীতলতা এবং বৃষ্টির কারণে কিছু এলাকায় তাপমাত্রার পতনও হতে পারে। তবে, এই বৃষ্টিপাতের কারণে তাপমাত্রা খুব বেশি বেড়ে যাবে না, বরং আর্দ্রতা বাড়িয়ে শীতকালকে আরও আরও শীতল করে তুলতে পারে।

বৃষ্টিপাতের কারণে দক্ষিণবঙ্গের কৃষিক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যাও দেখা দিতে পারে। শীতকালীন বৃষ্টিপাতের ফলে কিছু ফসলের ক্ষেত্র যেমন গম, মিষ্টি আলু এবং তরমুজের ক্ষতি হতে পারে। বৃষ্টিপাতের ফলে জমির ওপর পানি জমে থাকতে পারে, যা ফসলের বৃদ্ধির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

এছাড়া, পরিবহন ব্যবস্থাতেও কিছু সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে, হাওড়া, কলকাতা এবং অন্যান্য শহরগুলোর সড়কপথে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে, যা যান চলাচলকে বিঘ্নিত করবে। সমুদ্রবন্দরগুলিতে জোয়ার-ভাটা এবং প্রবল বাতাসের কারণে লঞ্চ ও ট্রলার চলাচলেও কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরের ওপর সৃষ্ট এই নিম্নচাপটি প্রথমে উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে যাবে এবং পরে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে স্থানান্তরিত হবে। এর ফলে, দক্ষিণবঙ্গের সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকবে। এর প্রভাবে, উজ্জ্বল সূর্যের দেখা মিলতে দেরি হতে পারে, আর দিনের বেলা মেঘাচ্ছন্ন আকাশ থাকবে।

আবহাওয়া দফতর দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দাদের সতর্ক করে দিয়েছে, বিশেষ করে সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলির জন্য। বৃষ্টিপাতের ফলে নদী বা খালগুলিতে পানি বাড়তে পারে, এবং নদীভাঙন বা জলাবদ্ধতার মতো সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কিছু এলাকা, মেদিনীপুর ও কলকাতা জেলায় বৃষ্টিপাতের কারণে সাধারণ নাগরিক জীবনে কিছু বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে।

Advertisements

এছাড়া, মৎস্যজীবীদেরও সমুদ্রে যাতায়াত থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা না থাকলেও, নিম্নচাপের প্রভাবে দুর্বল বা মাঝারি শক্তির বাতাস এবং ভারী বৃষ্টিপাত হবে, যা সমুদ্রের সুরক্ষিত চলাচলের জন্য উপযুক্ত নয়।

ডিসেম্বর মাসে, যখন শীতের আবহাওয়া সাধারণত শুষ্ক থাকে, তখন এমন বৃষ্টিপাত কিছুটা অস্বাভাবিক মনে হতে পারে। তবে, আবহাওয়া পরিবর্তন একটি স্বাভাবিক প্রাকৃতিক ঘটনা, যা মাঝে মাঝে আমাদের আশ্চর্যজনক পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে। এই নিম্নচাপটির প্রভাবে, ডিসেম্বরের শীতকালীন বাতাসে কিছুটা আর্দ্রতা বৃদ্ধি পাবে, যা শীতের ঠান্ডাকে অনুভূতির দিক থেকে আরও তীব্র করে তুলতে পারে।

এই সময়ে দক্ষিণবঙ্গের মানুষদের আরও সতর্ক থাকতে হবে, বিশেষ করে যারা বাইরে কাজ করেন, তাদের জন্য সঠিক পোশাক এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।