অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে নির্বাচনের আগে বাংলা, ঝাড়খন্ডে ইডি হানা

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) মঙ্গলবার বাংলাদেশি নাগরিকদের অবৈধ অনুপ্রবেশ (illegal immigration) ও পাচারের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডের একাধিক স্থানে তল্লাশি (raids) অভিযান চালিয়েছে। এ অভিযানটি মূলত…

Ration Scam: ED Arrests Three Rice Mill Owners for Alleged Illegal Selling

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) মঙ্গলবার বাংলাদেশি নাগরিকদের অবৈধ অনুপ্রবেশ (illegal immigration) ও পাচারের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডের একাধিক স্থানে তল্লাশি (raids) অভিযান চালিয়েছে। এ অভিযানটি মূলত অর্থ পাচার এবং মানব পাচারের তদন্তের অংশ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, ইডি ১৭টি স্থানে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু সন্দেহজনক ব্যক্তি এবং সংগঠনকে চিহ্নিত করেছে।

ইডি আধিকারিকরা জানিয়েছে, তারা সেপ্টেম্বরে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের (পিএমএলএ) আওতায় একটি মামলা দায়ের করার পর এই অভিযান শুরু করে। তদন্তে জানা গেছে, বেশ কিছু বাংলাদেশি মহিলা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন, এবং তাদের মাধ্যমে পাচারের পাশাপাশি অর্থ পাচারও করা হচ্ছিল। এরা এক ধরনের স্লাশ ফান্ড তৈরি করে, যা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অপরাধী চক্রের সঙ্গে সম্পর্কিত।

   

ইডি সূত্রে আরও জানা যায়, পাচারকারীরা কিছু বিশেষ উপায়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতে আনে এবং তারপর তাদেরকে বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িয়ে ফেলে। এই প্রক্রিয়ায় পাচার হওয়া অর্থ সীমানা পেরিয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছিল।

পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে ইডির তল্লাশি, সন্ত্রাসী চক্রের সম্ভাব্য যোগঃ
ইডি জানিয়েছে, অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন শহর ও গ্রামের একাধিক স্থানে তল্লাশি চালানো হয়েছে। যেসব স্থানগুলোতে অভিযান পরিচালিত হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশি নাগরিকদের অবৈধ উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। আরও তথ্য অনুসারে, ওই অঞ্চলে কিছু সন্ত্রাসী চক্রের সদস্যরাও সক্রিয় থাকতে পারে, যারা অবৈধ অর্থ পাচার ও মানব পাচারের জন্য আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে।

পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, বনগাঁ, ঝাড়খণ্ডের রাঁচি ও অন্য কিছু শহরের এসব স্থানে বাংলাদেশি নাগরিকদের অবৈধ কার্যকলাপ সন্দেহজনকভাবে বেড়েছে, যার জন্য তদন্তকারীরা আরও সতর্ক ও তৎপর হয়ে কাজ করছেন।

অর্থ পাচারে আন্তর্জাতিক চক্রের হাত:
ইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক অপরাধী চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এসব চক্র প্রায়শই অবৈধভাবে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতে এনে, তাদেরকে শ্রমের জন্য জোর করে কাজে লাগিয়ে অর্থপাচারের মাধ্যমে বিশাল অঙ্কের মুনাফা অর্জন করছিল।

তদন্তকারী সংস্থাগুলি মনে করছে, এ ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে। বর্তমানে ইডি ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এই অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরিকল্পনা করছে। এই তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে আরও বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে যা ভবিষ্যতে এই ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে সহায়ক হবে।ইডির তদন্তে সহযোগিতা করছে স্থানীয় পুলিশ ও সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী। এছাড়া, বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও এই তদন্তে সহায়তা করছে বলে জানা গেছে।

ইডির এই অভিযানে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে একটি বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, এবং আশা করা হচ্ছে, এই পদক্ষেপের ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।