কলকাতা: পাশবিক! দুই শিশুসন্তানের সামনে স্ত্রীকে খুন করে বাড়ির মধ্যেই দেহ পুঁতে রাখলেন স্বামী৷ তার পাশেই মেয়েদের নিয়ে ঘুম দিলেন তিনি৷ এই হাড়হিম করা ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের যদুগড়িয়া গ্রামের। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নাম সোম হাঁসদা৷ বুধবারই তাঁকে আদালতে হাজির করানো হবে। মৃতা স্ত্রীর নাম লক্ষ্মী হাঁসদা (২৭)। (husband killed his wife buried into the room)
সাত বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে husband killed his wife buried into the room
স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর সাতেক আগে ভালোবেসেই আউশগ্রামের যুবক সোমের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন লক্ষ্মী। দম্পতির দুই কন্যা সন্তান আছে। বড় মেয়ে সোনিয়ার বয়স ছ’বছর। রাখীর বয়স সাড়ে তিন বছর। সোনিয়া প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। প্রতিদিনই পরিবারে কলহ লেগেই থাকত৷
মঙ্গলবারেও অশান্তি হয় সোম-লক্ষ্মীর মধ্যে। রাগের মাথায় স্ত্রীকে খুন করে ঘরের মধ্যেই পুঁতে দেন স্বামী৷ সন্ধ্যায় ঘরের মেঝে খুঁড়ে লক্ষ্মীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
শাবল দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত
এদিন দুই মেয়ের সামনেই শাবল দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে খুন করেন সোম। অভিযুক্তের মা পানমণি হাঁসদা বৌ-এর খোঁজ করতে এলে, তাঁকে বলেন মার খেয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে৷ তিনি জানান, তাঁর ছেলে প্রতিদিন মদ খেয়ে বাড়ি ফিরত। সে ভাবে কাজকর্মও কিছু করত না৷ প্রতিবাদ করলেই অশান্তি করত৷ বৌমার সঙ্গে নিত্য অশান্তি লেগেই থাকত ছেলের৷ অভিযুক্তকে থানায় ধরে নিয়ে যায় আউশগ্রাম থানার পুলিশ। সঙ্গে তাঁর দুই নাবালিকাকেও নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ বড় মেয়ে সোনিয়া গোটা ঘটনার কথা পুলিশকে জানায়৷ তাঁর কথা শুনেই খোঁড়াখুড়ি করে লক্ষ্মীর দেহ বার করে আনা হয়৷