Hooghly: ‘দেব না জমি…’ সিপিএমের নেত্রী বন্যা টুডুর নেতৃত্বে শতশত মহিলার ঘেরাটোপে পুলিশ

হাইকোর্টের নির্দেশে জমি ফেরত নিতে গিয়ে ক্ষেতমজুরদের ঘেরাটোপে সরকারি কর্মকর্তা ও পুলিশ। হুগলির দাদপুরে লাঠি ও লাল পতাকা হাতে শতশত মহিলার স্লোগান দেব না জমি।…

Hoogly

হাইকোর্টের নির্দেশে জমি ফেরত নিতে গিয়ে ক্ষেতমজুরদের ঘেরাটোপে সরকারি কর্মকর্তা ও পুলিশ। হুগলির দাদপুরে লাঠি ও লাল পতাকা হাতে শতশত মহিলার স্লোগান দেব না জমি। তাদের নেতৃত্বে সিপিআইএমের কৃষক নেত্রী বন্যা টুডু। পরিস্থিতি গরম। সংঘর্ষের আশঙ্কা।

জমির পাট্টা বেআইনি বলে ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। জমির মালিকরা জমি ফেরত নিতে মরিয়া। প্রশাসনের সাহায্যে বর্গাদারদের উচ্ছেদ অভিযান শুরু হতেই শতশত মহিলা ঘিরে নেন প্রশাসনিক কর্তাদের। বাম ক্ষেতমজুর ইইনিয়ন নেত্রী বন্যা টুডু জানিয়েছেন, জমি ছাড়া হবে না। তার আহ্বানে দাদপুরে বিশাল জমায়েত। পুলিশের অভিযান রুখতে সিপিআইএমের কৃষক নেতৃত্ব তৈরি।

জানা গেছে, বামফ্রন্ট সরকারের আমলে হুগলির দাদপুরে ১৯৯৪ সালে জমিহীনদের জমির পাট্টা দেওয়া হয়েছিল। তাকপর থেকে জমিতে চাষ করছে ১৭৭টি বর্গাদার পরিবার। বন্যা টুডু বলেছেন, আমাদের ১৭৭জন বর্গাদারকে উচ্ছেদ করার জন্য জমি হাঙ্গররা মামলা করেছে হাইকোর্টে। আমরা এই মামলার কিছু জানতাম না। পরে জানতে পেরেছি। বৈধ পাট্টা সত্ত্বেও এখন জমির দখল নেবে বলছে। অন্যায়ভাবে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

Advertisements

জমির পাট্টা বাতিল করার পর জমি মালিকদের দাবি, দ্রুত জমি ফেরানোর ব্যবস্থা করুক সরকার। জেলার সিপিআইএম নেতাদের অভিযোগ, ২০১১ সালে পালাবদলের পর থেকে তৃণমূলের ছত্রছায়ায় জমি মাফিয়াদের নিয়ে দখল চালানোর চেষ্টা চলছে। আইনি মারপ্যাঁচে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে গরিবের অধিকার। তারা বনেছেন, মাটি বিক্রি করে বা গোডাউন ওয়্যারহাউস গড়ে দখল করা হচ্ছে কৃষি জমি।

জমি থেকে উচ্ছেদ অভিযান রুখতে এলে লাগাতার ঘেরাও আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন সিপিআইএমের কৃষক নেত্রী বন্যা টুডু।