আবহাওয়া দফতর (IMD) এবং অন্যান্য নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, আজ ৫ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে আবহাওয়ার (Weather) অবস্থা নিম্নরূপ হতে পারে। যদিও নির্দিষ্ট ঘণ্টাভিত্তিক তথ্য সীমিত, সাম্প্রতিক পূর্বাভাসের ভিত্তিতে একটি সাধারণ চিত্র তুলে ধরা হল।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে, বিশেষ করে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া প্রভৃতি অঞ্চলে আজ আংশিক মেঘলা আকাশের সম্ভাবনা রয়েছে। সাম্প্রতিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, কিছু জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে দুপুর বা বিকেলের দিকে।
বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়ের সম্ভাবনাও কিছু এলাকায় থাকতে পারে। কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২-৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬-২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে। উচ্চ আর্দ্রতার কারণে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হবে।
দক্ষিণবঙ্গের কিছু অংশে, বিশেষ করে উপকূলবর্তী এলাকায়, হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কোথাও কোথাও তুমুল বৃষ্টি বা দুর্যোগের সম্ভাবনা কম। বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১০-১৫ কিমি হতে পারে, এবং আর্দ্রতার মাত্রা ৭০-৮৫% এর মধ্যে থাকবে, যা গরম ও আর্দ্র পরিবেশ সৃষ্টি করবে।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি, যেমন দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং উত্তর দিনাজপুরে আজ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একটি নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তরবঙ্গের কিছু এলাকায় টানা বর্ষণের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে দার্জিলিং ও কালিম্পং-এ নদীগুলির জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপদসীমার উপরে থাকতে পারে।
উত্তরবঙ্গে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮-৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে। ভারী বৃষ্টির কারণে কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা বা ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর উত্তরবঙ্গের জন্য হলুদ বা কমলা সতর্কতা জারি করতে পারে। ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায়, যেখানে বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি পর্যন্ত হতে পারে।
ফের কেঁপে উঠল দেশ, ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২,২০০ প্রাণহানি
আবহাওয়া দফতরের পরামর্শ
বাসিন্দাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যে তারা বৃষ্টির জন্য প্রস্তুত থাকুন এবং ভ্যাপসা গরমের কারণে পর্যাপ্ত জল খান । বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গায় থাকা এড়িয়ে চলুন। ভারী বৃষ্টির কারণে নদীতীরবর্তী এলাকায় সতর্ক থাকুন। ভূমিধসের আশঙ্কা থাকায় পাহাড়ি এলাকায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করুন।