হাওড়া (howrah) নয়! পূর্ব রেলের দক্ষিণেশ্বর (Dakshineswar) এবং বরাহনগর (Barahnagar) স্টেশনগুলির (stations) নিরাপত্তা (safety) ও সামগ্রিক দেখাশোনার দায়িত্ব দমদম জিআরপি (Dumdum GRP) থানার হাতে তুলে দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসছে। নতুন এই নির্দেশনার ফলে, শুধু স্টেশনগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা মজবুত হবে না, একই সঙ্গে যাত্রীদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে এবং যেকোনো ধরনের অপরাধ বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে। বিশেষত, পূর্বে যাত্রীদের অভিযোগ জানাতে বেলুড় থানায় যেতে হতো, কিন্তু দমদম জিআরপি থানার অধীনে আসার ফলে ঘটনাস্থলে পুলিশের দ্রুত পৌঁছানোর সুবিধা সৃষ্টি হবে, যা পূর্বে অনেক ক্ষেত্রে সময়সাপেক্ষ এবং সমস্যাযুক্ত ছিল।
দক্ষিণেশ্বর এবং বরাহনগর স্টেশনগুলি গঙ্গার ওপারে অবস্থিত হওয়ায়, নিরাপত্তা (Security) ব্যবস্থা পরিচালনায় বেশ কিছু প্রশাসনিক সমস্যা তৈরি হচ্ছিল। রেল পুলিশ যদি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে না পারে, তবে তা যাত্রীদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করত। দমদম জিআরপি (Dumdum GRP) থানার অধীনে আসার পর, এসব সমস্যার সমাধান হবে এবং দ্রুত প্রতিকার পাওয়া যাবে। বিশেষ করে, পুলিশের উপস্থিতি দ্রুত নিশ্চিত হওয়ায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বা যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তা সমাধান করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে।
রেল পুলিশের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, শুধু দক্ষিণেশ্বর ও বরাহনগর স্টেশনগুলির নিরাপত্তা নয়, হাওড়া ডিভিশনের তারকেশ্বর থেকে আরামবাগ পর্যন্ত রেললাইনের নিরাপত্তার (Security) দায়িত্বও রেল পুলিশের হাতে দেওয়া হয়েছে। এতোদিন এই অঞ্চলের নিরাপত্তা এবং অপরাধ তদন্ত স্থানীয় থানার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছিল, কিন্তু এখন থেকে এই সমস্ত কাজ রেল পুলিশের দ্বারা পরিচালিত হবে। তারকেশ্বর থেকে আরামবাগ পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার রেললাইনে একটি নতুন থানা স্থাপন করা হয়েছে, যা আগে ছিল একটি ফাঁড়ি। এটি হাওড়া রেল পুলিশ সুপারের অধীনে কাজ করবে এবং সেখানে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
রেল পুলিশের মতে, এই পদক্ষেপগুলির মাধ্যমে রেলপথের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নতুন একটি যুগের সূচনা হবে। দক্ষিণেশ্বর এবং বরাহনগর স্টেশনগুলির মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলির নিরাপত্তা মজবুত করার পাশাপাশি, এই অঞ্চলের পুরো রেললাইনেও নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে। দমদম থানার কাছাকাছি এই স্টেশনগুলির অবস্থান এবং নতুন নির্দেশনার মাধ্যমে পুলিশ তাদের কার্যক্রম আরও সুসংগঠিতভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম হবে।
এছাড়া, আগামী দিনে রেল পুলিশের বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে এই স্টেশনগুলিতে আরও আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্থাপন করার জন্য। বিশেষ প্রযুক্তি এবং সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করে স্টেশনগুলির নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করার কথা ভাবা হচ্ছে। পাশাপাশি, রেল পুলিশ জানাচ্ছে যে, যাত্রীদের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা যতই শক্তিশালী হবে, অপরাধমূলক কার্যকলাপের সম্ভাবনা ততই কমবে।
এই সিদ্ধান্ত শুধু নিরাপত্তা (Security) ব্যবস্থার উন্নতি করবে না, বরং রেলপথে যাত্রীদের জন্য আরও একটি নিশ্চিন্ত যাত্রার পরিবেশ সৃষ্টি করবে, যা পূর্বে ছিল না। নতুন পদক্ষেপের ফলে যাত্রীদের আস্থা বৃদ্ধি পাবে এবং তারা আরও নিরাপদভাবে (safety) রেলপথে যাতায়াত করতে পারবে।