Rampurhat Files: ৯-১০ নাকি ১৪ জন, বগটুই গণহত্যায় কটা পোড়া দেহ?

সিবিআই তদন্ত চলছে। বীরভূমের বগটুই গ্রামের গণহত্যার তদন্তে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান নথিভুক্ত, টানা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন গোয়েন্দারা। রামপুরহাটের (Rampurhat Files) বগটুই গ্রামে গত সোমবার রাতে যে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল তাতে বেঁচে যাওয়া অনেকেই এখনও ভীত।

Advertisements

ঘটনার দিনে ঠিক কেমন করে হামলা হয়, তার পারস্পরিক বয়ানের ধন্ধ কাটানো সিবিআই জোর দিচ্ছে। কারণ হামলার মুহূর্ত থেকে পুরো ঘটনা তদন্ত অনুসারে লিপিবদ্ধ করা দরকার বলেই মনে করা হচ্ছে।পুলিশ, দমকল, গ্রামবাসী ও চিকিৎসাধীনদের বয়ান নিচ্ছেন সিবিআই অফিসাররা।

রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের গণহত্যার কতজন সংখ্যালঘু খুন হয়েছেন? তদন্তের রেশ ধরে উঠে আসছে, নিহতের সংখ্যা সরকারি হিসেবের থেকে বেশি। সরকারি হিসেবে বগটুই গ্রামে শিশু মহিলা সহ ৯ জন মৃত। আর প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান  থেকে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা কয়েকজনের দাবি, নিহত কমপক্ষে ১২-১৪ জন।

Advertisements

গত ২১ মার্চ বগটুই গ্রামে হামলা হয়েছিল। তার বিবরণ দিয়েছেন, নিহত নাজিমা শেখের স্বামী সেকলাল শেখ। সোমবার চিকিৎসাধীন নাজিমা মারা যান। এর পরেই সেকলাল শেখ বিস্ফোরক দাবি করেন। তিনি বলেছেন, খুন হয়ে যাওয়া পঞ্চায়েত উপপ্রধান ভাদু শেখের কাছ থেকে টাকা খেত অনুব্রত মণ্ডল।

বীরভূম জেলা টিএমসি সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ভূমিকা নিয়ে সিবিআই রীতিমতো বয়ান নথিভুক্ত করছে। মনে করা হচ্ছে অনুব্রতকে ডাকতে সিবিআই। কারণ, ঘটনার পরদিন অনুব্রত দাবি করেন, শর্ট শার্কিট থেকে আগুন ছড়ায়। প্রবল বিতর্কের মাঝে মুখ বন্ধ করেন টিএমসি জেলা সভাপতি। নিহত নাজিমা বিবির স্বামী সেকলাল শেখ জানান, আক্রমণকারীরা ঘরে বন্দি করে বাইরে থেকে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়েছিল।