জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় তৎপর কেন্দ্র। দেশের আকাশপথে বাড়তি সতর্কতা (Airport) জারি করল ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (BCAS)। ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর— এই দশদিনকে ঘিরে জারি হয়েছে চূড়ান্ত হাই অ্যালার্ট। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই সময়ের মধ্যে দেশে কোনও বড়সড় জঙ্গি হামলা বা নাশকতা ঘটতে পারে। ফলে আগেভাগেই কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণে পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রশাসন।(Airport)
কেন এই সতর্কতা?
বিশ্ববিদ্যালয়, ধর্মীয় স্থান, রাজনৈতিক (Airport) সমাবেশের পাশাপাশি বিমানবন্দরগুলিকেও টার্গেট করতে পারে জঙ্গিরা— এমনটাই আশঙ্কা গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এসেছে। বিশেষ করে বিমানবন্দর ও আকাশপথের নিরাপত্তা নিয়ে সম্প্রতি কয়েকটি সন্দেহজনক গতিবিধি ধরা পড়ায় গোয়েন্দাদের কপালে ভাঁজ পড়েছে। তাই কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না কেন্দ্রীয় সরকার।
এই প্রেক্ষিতে BCAS-এর পক্ষ থেকে দেশের(Airport) সমস্ত বিমানবন্দর, এয়ারলাইন্স সংস্থা, এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (AAI), CISF এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে কড়া সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত সংস্থাকেই বলা হয়েছে, তারা যেন পরিস্থিতির উপর নজরদারি বাড়ায় এবং কোনওরকম সন্দেহজনক তৎপরতা দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়(Airport)
কী কী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে?
BCAS-এর তরফে নির্দিষ্ট কিছু গাইডলাইন পাঠানো হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে—
বিমানবন্দরে প্রবেশের সময় যাত্রী ও তাঁদের লাগেজের উপর নজরদারি আরও বাড়ানো(Airport)
বিমানবন্দরের পার্কিং এলাকায় বিশেষ তল্লাশির ব্যবস্থা
টার্মিনাল চত্বরে সন্দেহভাজন ব্যক্তি বা বস্তু চিহ্নিতকরণে বাড়তি সতর্কতা
সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ আরও কঠোরভাবে চালানো
প্রত্যেক নিরাপত্তা কর্মীকে চূড়ান্ত সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ
জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুত রাখতে হবে বিশেষ দল এবং কুইক রেসপন্স ইউনিট(Airport)
বিশেষ করে যাত্রী ও কর্মীদের চলাফেরায় নজরদারি চালাতে হবে যাতে কেউ কোনওরকম অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটানোর সুযোগ না পায়।
বিমানযাত্রীদের কী করণীয়?
এই পরিস্থিতিতে বিমানযাত্রীদের জন্যও কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।(Airport)
বিমানযাত্রার নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই বিমানবন্দরে পৌঁছতে বলা হয়েছে।
সঙ্গে ফটো আইডি, বোর্ডিং পাস এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রাখা বাধ্যতামূলক।(Airport)
নিরাপত্তা চেকের সময় কোনওরকম দ্বিধা বা গাফিলতি না দেখিয়ে নিয়ম মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।
সন্দেহভাজন কিছু নজরে এলে সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা কর্মীদের জানাতে বলা হয়েছে।
প্রশাসনের প্রস্তুতি
এই হাই অ্যালার্টের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্র ও রাজ্য(Airport) স্তরে সমন্বয় রেখে কাজ শুরু করেছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বড় বিমানবন্দরে (যেমন দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু) বাড়ানো হয়েছে নজরদারি ও মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি ফোর্স। জরুরি অবস্থার জন্য চিকিৎসা ও উদ্ধার ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।