নিম্নচাপের বৃষ্টিতে পটাশপুরে কেলেঘাই নদীর পাড় ধসে পড়ল, সতর্ক প্রশাসন 

মিলন পণ্ডা, পটাশপুর: সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপের কারণে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর (Potashpur) অঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। টানা কয়েকদিনের এই প্রবল বৃষ্টির ফলে কেলেঘাই…

মিলন পণ্ডা, পটাশপুর: সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপের কারণে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর (Potashpur) অঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। টানা কয়েকদিনের এই প্রবল বৃষ্টির ফলে কেলেঘাই নদীর পাড়ের কিছু অংশ ধসে পড়েছে, যা স্থানীয় মানুষের জীবিকা ও বাড়িঘরে সরাসরি প্রভাব ফেলেছে। বিশেষত চিস্তিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চিস্তিপুর ভেড়ী বুথ এলাকা এবং গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুঞ্জবেড়িয়া গ্রামে নদীর পাড়ে ধস দেখা গেছে।

Advertisements

ধসের কারণে চিস্তিপুর ভেড়ী বুথ এলাকার একটি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি কুঞ্জবেড়িয়া গ্রামের পাকা রাস্তার একটি অংশও ধসে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যাহত হয়েছে। এই অবস্থায় স্থানীয় প্রশাসন এবং ব্লক নেতৃত্ব সক্রিয়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।

   

শনিবার দুপুরে গোটা এলাকা পরিদর্শন করেন কাঁথি সংগঠনীক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও পটাশপুর ১ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতি সহ-সভাপতি পীযূষ কান্তি পণ্ডা। তিনি কেলেঘাই নদীপাড়ের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সরেজমিনে দেখেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে তিনি জানান যে প্রশাসনিক সহায়তা এবং স্থানীয় উদ্যোগের মাধ্যমে দ্রুত পুনর্গঠন ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।

পীযূষ কান্তি পণ্ডা বলেন, “প্রশাসন পুরোপুরি সতর্ক রয়েছে। পরিস্থিতি খারাপ হলে মানুষজনকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে। সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এলাকার মানুষদের আতঙ্কিত হবার কোনও কারণ নেই।”

স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, নদী বাঁধ পরিস্থিতির উপর নিয়মিত নজর রাখা হচ্ছে এবং জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। টানা বৃষ্টির কারণে এলাকার জনজীবনে অস্থায়ী ব্যাঘাত দেখা দিয়েছে, তবে সচেতন প্রশাসন দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনছে।

স্থানীয় মানুষজনও প্রশাসনের সতর্ক পদক্ষেপে আশ্বস্ত। তারা আশা প্রকাশ করেছেন যে, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা ও বাড়িঘর দ্রুত পুনর্গঠন করা হবে। ব্লক ও জেলা প্রশাসনের পর্যবেক্ষণ এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সক্রিয় উপস্থিতি এলাকার মানুষদের মানসিকভাবে দৃঢ় রাখছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিম্নচাপের সময় নদীর তীরবর্তী এলাকায় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। নদীর জোয়ার এবং টানা বৃষ্টির কারণে ধসের ঝুঁকি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। সেক্ষেত্রে দ্রুত স্থানান্তর এবং রেসকিউ ব্যবস্থা অপরিহার্য।

এই পরিস্থিতি পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন, স্থানীয় নেতা ও সমাজের একাত্ম উদ্যোগে দ্রুত পুনর্গঠন ও জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।