শপথ বিতর্কে রাষ্ট্রপতির কাছে স্পিরকারের বিরুদ্ধে নালিশ করেছেন রাজ্যপাল আনন্দ বোস। এর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই শুক্রবার প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের পরও নির্বিকার স্পিকার!
কী বলেছেন স্পিকার?
বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘খুব আনন্দের কথা। আমি আরও খুশি হতাম, যদি উনি আগেই এটা করতেন। কারণ রাষ্ট্রপতিজিকে আমরা আগেই জানিয়েছি।’
কেন নালিশ করলেন রাজ্যপাল?
তৃণমূলের দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন সরকারকে শুক্রবার বিধানসভায় শপথ গ্রহণ করিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাজভবনের তরফে এই দুই বিধায়কদের শপথগ্রহণের জন্য ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ দিনের সভার শুরুতেই রাজভবনের নির্দেশ মানতে অস্বীকার করেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পিকারের উপস্থিতিতে ডেপুটি হয়ে সপথবাক্য পাঠ করাবেন না বলে উল্লেখ করেন। এরপর স্পিকারই সায়ন্তিকা ও রেয়াতকে শপথবাক্য পাঠ করান।
মুখ পুড়তেই বড় তোপ রাজ্যপালের, স্পিকারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির দুয়ারে আনন্দ বোস!
যা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল। রাজভনের নির্দেশকে উপেক্ষা করায় বিধানসভার স্পিকারের বিরুদ্ধে সংবিধান লংঘনের অভিযোগ করছেন সিভি আনন্দ বোস। রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া রিপোর্টে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী রাজভবনের তরফে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারকে শপথবাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু স্পিকার সেই নির্দেশ অমান্য করে সংবিধানকেও অমান্য করেছেন। এ দিন বিধানসভায় সায়ন্তিকাদের শপথগ্রহণ পর্ব মেটার ঘন্টা ঘণ্টা দু’য়েকের মধ্যেই রাজভবনের এক্স হ্যান্ডলে বিষয়টি পোস্ট করে নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন রাজ্যপাল আনন্দ বোস। বেশ কয়েকটি প্রশ্ন এবং উত্তরের মাধ্যমে নিজের মতামত তুলে ধরেছেন তিনি।
আনন্দের মুখে ঝামা, বড় ইচ্ছেপূরণ সায়ন্তিকা-রেয়াতের
রাজ্যপালের নির্দেশ না মেনে দুই জয়ী প্রার্থীর শপথ গ্রহণ করানো নিয়ে বিধানসভায় একটি নিয়মের উল্লেখ করেছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, যেহেতু বিধানসভার অধিবেশন চালু রয়েছে, তাই রাজ্যপালের চিঠি মান্যতা পেল না। রুলস অফ বিজনেসের ২ নম্বর অধ্যায়ের ৫ নম্বর ধারা মেনেই তিনি শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন। রাজ্যপাল সেই যুক্তিকেই খণ্ডণ করেছেন।