কলকাতা: শুধু স্লোগান বা বিক্ষোভ নয়—এদিন এক অভিনব প্রতিবাদে নজর কেড়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার কসবায় ডিআই অফিস অভিযানের সময় পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনার প্রতিবাদে চাকরিহারারা বেছে নেন ‘গান্ধীগিরি’র পথ।
প্রত্যাঘাত নয়, হাতে গোলাপ Gandhigiri of deprived teacher
চাকরি হারিয়ে ক্ষুব্ধ, হতাশ, কিন্তু শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের বার্তা দিতে এদিন চাকরিপ্রার্থীরা পুলিশের হাতে গোলাপ তুলে দেন। যদিও বেশিরভাগ পুলিশ কর্মী সেই গোলাপ নিতে রাজি হননি।
তবু চাকরিহারাদের বার্তা স্পষ্ট—“আমরা প্রতিবাদ করব, কিন্তু অহিংসভাবে। আপনারা আমাদের লাঠি মারুন, আমরা গোলাপই দেব।”
এই চিত্র মুহূর্তেই ভাইরাল হতে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই এই ‘গান্ধীগিরি’র প্রশংসা করে বলেন, “সত্যিই হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া প্রতিবাদ।”
কসবায় লাঠিচার্জের তদন্ত করবেন অভিযুক্ত এসআই? Gandhigiri of deprived teacher
এদিকে কসবা ডিআই অফিসে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় চাকরিহারাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে এসআই রিটন দাসকে—এই নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। কারণ, তিনিই সেই পুলিশ অফিসার, যার বিরুদ্ধে চাকরিপ্রার্থীদের লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনকারীরা।
সূত্রের খবর, বিতর্ক এড়াতে তদন্তের দায়িত্ব পরিবর্তন করার কথাও ভাবছে লালবাজার। সম্ভাব্য নতুন তদন্তকারী অফিসার হিসেবে সঞ্জয় সিং-এর নাম উঠে আসছে। তবে বিষয়টি নিয়ে কসবা থানার তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
সামনে জোড়া কর্মসূচি, সঙ্কটে প্রশাসন Gandhigiri of deprived teacher
শুক্রবার রয়েছে এসএসসি ভবন অভিযান, পাশাপাশি বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠক। আন্দোলনকারীরা সাফ জানিয়েছেন—এখন আর শুধু আশ্বাসে তাঁরা সন্তুষ্ট নন, চান লিখিত প্রতিশ্রুতি ও দ্রুত পদক্ষেপ।
অন্যদিকে শহরের একাধিক জায়গায় পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে, যাতে পরিস্থিতি হাতের বাইরে না যায়।
শান্ত প্রতিবাদেও যে গভীর শক্তি থাকে, তা যেন আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন চাকরি হারানো এই ২৬ হাজার যোদ্ধা। মুখে হাসি, হাতে গোলাপ—তাঁরা এখনও আশা রাখেন, তবু লড়াই থামাবেন না।