অবশেষে শপথ নিলেন উপনির্বাচনে জয়ী চার বিধায়ক। মঙ্গলবার ওই চার বিধায়কের শপথগ্রহণের সময় বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উপস্থিতিতে শপথবাক্য পাঠ করেন মুকুটমণি অধিকারী, কৃষ্ণ কল্যাণী, সুপ্তি পাণ্ডে এবং মধুপর্ণা ঠাকুর।
প্রচুর কমল সোনার দাম, মধ্যবিত্তের জন্য বিরাট উপহার টিম-মোদীর
অন্যদিকে এই শপথ অনুষ্ঠানে বিজেপির কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। কারণ তাঁদের দাবি, এই শপথগ্রহণ সংবিধান মেনে হচ্ছে না। এদিকে, সংবিধান মেনেই শপথগ্রহণ হচ্ছে বলে পাল্টা দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দুপুরে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেম্বারে গিয়ে শপথ নেন ওই চার বিধায়ক।
স্পেশাল স্ট্যাটাস না দিয়ে শরিকদের ঢালাও বরাদ্দ, দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে মরিয়া মোদী?
বরাহনগরের সায়ন্তিকা ব্যানার্জি ও ভগবানগোলার রায়াত হোসেনের পর এই চার বিধায়কের শপথ নিয়েও জটিলতা শুরু হয়। রাজ্য-রাজভবনের দ্বন্দ্বের নতুন করে সূত্রপাত হয়। যারফলে নয়া বিধায়কদের শপথে জটিলতা বাড়ে। গতকাল রাজভবন থেকে বিধানসভায় এই নিয়ে চিঠিও পাঠানো হয়। সেই চিঠিতে গোটা বিষয়টি অসাংবিধানিক বলে দাবি করা হয়। তার জেরেই এদিন বিধানসভায় অনুপস্থিত ছিল বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সংবিধান মেনেই বাজেট হচ্ছে। সংবিধানের পাঁচটি শর্ত মেনেই নয়া বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করানো হয়েছে।
বাজেটে কীসের দাম কমছে? কোনগুলোর দাম বৃদ্ধি? কতটা সুরাহা মধ্যবিত্তের?
গত মাসেই তৃণমূলের দুই বিধায়কের শপথ নিয়ে সংবিধানগত জটিলতা তৈরি হয়েছিল। তখন গোটা বিষয়টি নিজের তত্ত্বাবধানে রেখে গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাতে চেয়েছিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজভবনের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে সায়ন্তিকা ও রায়াত হোসেনকে শপথ গ্রহণ করাতে প্রস্তাব দেয় বিধানসভা। যদিও সেই প্রস্তাবে এখনও পর্যন্ত ‘টু’ শব্দটি করেনি রাজভবন। তাঁদের এই ‘নীরবতা’ চিন্তা বাড়িয়েছিল রাজ্যের শাসক দলকে। এবার একই ঘটনা পুনরাবৃত্তি হওয়ায় রাজ্য-রাজভবন সম্পর্ক একেবারেই তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।