ইউনেস্কো ওয়ার্লড হেরিটেজ পাওয়া প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতী থেকে বিদেশি ছাত্র অপহৃত। তীব্র চাঞ্চল্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। ওই ছাত্র মায়ানমারের নাগরিক। তাকে অপহরণ করার কথা থানায় ই মেল করে জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। ওই ছাত্র বোলপুর শান্তিনিকেতনের ইন্দিরা পল্লীতে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকত। তাকে অপহরণের কারণ কী তা নিয়ে ধন্ধে পুলিশ।
অপহৃত বর্মী ছাত্রের নাম পান্না চাহা। সে বিশ্বভারতীতে সংস্কৃত ভাষার গবেষক। অভিযোগ সে যে বাড়িতে থাকত সেখান কয়েকজন এসেছিল। তার পর থেকে আর কোনও খোঁজ নেই। মায়ানমারের ওই অপহৃত ছাত্রের বন্ধুকেও গতকাল তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে ছেড়ে দেয় দুস্কৃতিরা। সেই পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তপক্ষকে সব জানায়। এরপর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বোলপুর থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে।
কারা এই বর্মী ছাত্রকে অপহরণে জড়িত তার তদন্ত করছে বোলপুর থানার পুলিশ। অপহৃত বর্মী ছাত্রর বন্ধুকে কেন তুলে নিয়ে গিয়েও ফের ছেড়ে দিল দুষ্কৃতিরা তা রহস্যজনক। সেই ছাত্র জানান, যে বাড়িতে ভাড়া থাকতাম সেখানে কয়েকজন এসে়ছিল। তারাই তুলে নিয়ে যায়। এদিকে দিনে দুপুরে বর্মী ছাত্র অপহরণের ঘটনায় বোলপুরের রবীন্দ্র পল্লী এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিশ্বভারতীতে বহু বিদেশি ছাত্র ছাত্রী পড়েন। তারাও আতঙ্কিত। এমন ঘটনা আগে ঘটেনি। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ হতবাক।
ওই বর্মী ছাত্রকে বৃহস্পতিবার দুপুরে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। কয়েকজন একটি গাড়িতে রবীন্দ্র পল্লীতে আসে। বর্মী ছাত্র পান্না যে বাড়িতে ভাড়া থাকত সেই বাড়িতে তারা ঢোকে। পান্না ও তার রুমমেট দুজনকেই তুলে নিয়ে যায়। এই ঘটনা ঘটার সময় এলাকার কেউ টের পাননি। পরে বর্মী ছাত্রের বন্ধুকে ছেড়ে দেওয়া ও তার বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে বিদেশি ছাত্র অপহরণের ঘটনা।
জানা যাচ্ছে ওই বর্মী ছাত্রের অপহরণের ঘটনায় উদ্বিগ্ন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করবেন মায়ানমারের দূতাবাসের সাথে। মায়ানমারে থাকা ওই ছাত্রের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হবে। মায়ানমারে এখন সামরিক শাসন চলছে। সে দেশে গণহত্যায় অভিযুক্ত সেনা সরকার। দেশটির গণতন্ত্রী নেত্রী নোবেল জয়ী সু কি সেনা সরকারের নজরবন্দি।