উত্তরবঙ্গে বন্যা দক্ষিণে কেমন থাকবে আবহাওয়া

কলকাতা, ৬ অক্টোবর: বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পশ্চিমাংশে গভীর চাপের এলাকার প্রভাবে (Weather Update) পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে আজও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।আলিপুর অফিস থেকে জারি করা সাম্প্রতিক…

Weather alert

কলকাতা, ৬ অক্টোবর: বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পশ্চিমাংশে গভীর চাপের এলাকার প্রভাবে (Weather Update) পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে আজও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।আলিপুর অফিস থেকে জারি করা সাম্প্রতিক আবহাওয়া বুলেটিনে বলা হয়েছে, ৬ অক্টোবর পর্যন্ত এই অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি সঙ্গে বজ্রপাত এবং ঝোড়ো হাওয়া চলতে পারে।

Advertisements

বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি এবং দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী থেকে খুব ভারী বৃষ্টির (৬৪.৫-২০৪.৪ মিলিমিটার) আশঙ্কা করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বিস্তীর্ন এলাকা বন্যায় ভেসে গিয়েছে। আইএমডি-এর সাম্প্রতিক পূর্বাভাস অনুসারে, বঙ্গোপসাগরে ২ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া গভীর চাপের এলাকা (ডিপ্রেশন) ওড়িশার অভ্যন্তরীণ অংশে দুর্বল হয়ে পৌঁছেছে, কিন্তু এর প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে এখনও অবশিষ্ট রয়েছে।

   

এশিয়া কাপের পরে বিশ্বকাপেও মুখ থুবড়ে পড়ল পাকিস্তান

উত্তরবঙ্গে সহ-হিমালয়ান অঞ্চলে ২-৫ অক্টোবর পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি সঙ্গে বজ্রপাতের সম্ভাবনা ছিল, যা আজও চলবে। দক্ষিণবঙ্গে, গঙ্গীয় অঞ্চলে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত বৃষ্টির স্পেল চলেছে, এবং আজও কয়েকটি জেলায় (পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া) এক বা দুই স্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

কলকাতায় অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে, যেখানে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া সঙ্গে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রা ২৮-৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে, কিন্তু আর্দ্রতার কারণে আবহাওয়া গুমোট হবে। এই অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় প্রভাব ফেলছে। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়িতে ইতিমধ্যে নদীতে জলস্ফীতি দেখা দিয়েছে, যা আজকের বৃষ্টিতে আরও বাড়তে পারে।

দক্ষিণবঙ্গে কলকাতা, হাওড়া, বর্ধমান এবং মেদিনীপুরে রাস্তাঘাটে জল জমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দুর্গাপূজার আমেজে এই আবহাওয়া উৎসবের উল্লাসে ছায়া ফেলতে পারে। স্থানীয় প্রশাসন পান্দুব-ডিভাইডার এবং বাঁধের তত্ত্বাবধান বাড়িয়েছে, এবং এনডিআরএফের দলগুলোকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। কৃষকরা চিন্তিত, কারণ ধানের ফসল কাটাইয়ের সময় এই বৃষ্টি ক্ষতির কারণ হতে পারে।আইএমডি-এর দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ৭-১০ অক্টোবরের মধ্যে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে, কিন্তু আর্দ্রতা থাকবে।

এই আবহাওয়া পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে গত বছরের বন্যার কথা। আইএমডি-এর সতর্কবার্তা মেনে চললে ক্ষয়ক্ষতি কমানো যাবে। উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকায় ল্যান্ডস্লাইডের ঝুঁকি থাকায় পর্যটকদের ভ্রমণ এড়ানো উচিত। দক্ষিণবঙ্গে নিকাশী ব্যবস্থা শক্তিশালী করার দাবি উঠেছে।