মৎস্যজীবীদের মুক্তি! কেন্দ্রকে বলেও লাভ হয়নি, বিধানসভায় বললেন মমতা

বাংলাদেশে পশ্চিমবঙ্গের আরও ১৬ জন মৎস্যজীবী (fishermen) গ্রেফতার হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সম্প্রতি কাকদ্বীপ থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার…

fishermen release Mamata

বাংলাদেশে পশ্চিমবঙ্গের আরও ১৬ জন মৎস্যজীবী (fishermen) গ্রেফতার হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সম্প্রতি কাকদ্বীপ থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে পড়ে তাঁদের ট্রলার, যার ফলস্বরূপ বাংলাদেশ প্রশাসন তাঁদের গ্রেফতার করে। এই নিয়ে গত কয়েক দিনে মোট ৮৫ জন মৎস্যজীবী বাংলাদেশে আটক হলেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার বিধানসভায় বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে আমাদের মৎস্যজীবীদের আটক করা হয়েছে, আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে (central government) বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি, কিন্তু কোনও ফলপ্রসূ পদক্ষেপ হয়নি।’’ তিনি আরও জানান, কিছু দিন আগে ৬৯ জন মৎস্যজীবীকে বাংলাদেশে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং তাদের সেখানকার জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ‘‘আমরা আইনজীবী দিয়েছি, কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি,’’ বলেন মমতা।

   

তিনি বলেন, ‘‘আমাদের একটি ট্রলার বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে পড়েছিল, সেই ট্রলারটিকে পশ্চিমবঙ্গে আটকানো হয়েছিল, তবে বৈধ কাগজপত্র থাকায় সেটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’’ কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নিয়মিত মৎস্যজীবীদের আটকানোর ঘটনাটি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি এখন তীব্র হয়ে উঠেছে।

কাকদ্বীপ থেকে যাওয়া ‘ঝড়’ নামক ট্রলারটির ১৬ জন মৎস্যজীবী বাংলাদেশের সীমান্ত অতিক্রম করার পর গ্রেফতার হন। তাঁদের পরিবারগুলোর কাছে খবর পৌঁছায় যে, তাঁদের স্বজনরা বাংলাদেশের জেলে আটক আছেন। এর আগেও এক ট্রলার আটক হয়েছিল, যেখানে ৬৯ জন মৎস্যজীবী গ্রেফতার হন। ফলে বর্তমানে বাংলাদেশের জেলে মোট ৮৫ জন মৎস্যজীবী আটকে রয়েছেন, যা তাদের পরিবারে গভীর চিন্তা তৈরি করেছে।

এদিকে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। গত কিছু দিন আগে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার এবং সংখ্যালঘু নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের পর সেখানে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশে এবং পশ্চিমবঙ্গেও প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকারের উদ্বেগের পর, দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে চাপ তৈরি হয়েছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় দাবি করেছেন, ‘‘বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হবে। আমি চাই, কেন্দ্র রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে বাংলাদেশে শান্তিবাহিনী পাঠানোর আবেদন জানাক।’’ মমতা আরও বলেন, ‘‘মৎস্যজীবীদের গ্রেফতার এবং তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি কেন্দ্র গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করুক।’’

এই পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশে গ্রেফতার হওয়া মৎস্যজীবীদের পরিবারের সদস্যরা উদ্বেগে আছেন, এবং রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলও কেন্দ্রের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছে।