ক্লাসরুমেই শিক্ষিকা ও ছাত্রের বিয়ে! ভাইরাল ভিডিও ঘিরে চাঞ্চল্য

নদিয়ার হরিণঘাটার মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটিতে(University) এক অবাক করা ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমেই বিভাগীয় প্রধান শিক্ষিকা ও প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের বিয়ের ছবি ও…

first-year-student-teacher-marriage-classroom-viral-university-incident

short-samachar

নদিয়ার হরিণঘাটার মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটিতে(University) এক অবাক করা ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমেই বিভাগীয় প্রধান শিক্ষিকা ও প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের বিয়ের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।

   

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, প্রধান শিক্ষিকা লাল টুকটুকে শাড়ি, গলায় রজনীগন্ধার মালা, হাতে শাঁখা ও সিঁথিতে সিঁদুর পরে দাঁড়িয়ে আছেন। তার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন প্রথম বর্ষের এক ছাত্র, তার গলাতেও রয়েছে মালা। তবে ছাত্রটি সাধারণ পোশাকে—প্যান্ট ও টি-শার্ট পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়।

ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই তদন্ত কমিটি বসে। ভাইরাল ভিডিও থেকে জানা গিয়েছে গত ১৬ জানুয়ারি ক্লাসরুমের মধ্যেই বিয়ের আসরটি বসে। মালাবদল থেকে শুরু করে সিঁদুরদান সবই দেখানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের(University) ক্যাম্পাসে ক্লাসরুমের মধ্যেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়টি নিয়ে জানাজানি হওয়ার পর শিক্ষিকা জানিয়েছেন একটি প্রজেক্টের অংশ হিসাবে ওই দৃশ্য তৈরি করা হয়েছিল।

কিন্তু কোন প্রজেক্টে এই ধরনের বিবাহের প্রস্তুতির ভিডিও ছবি ওঠে সেই প্রশ্নের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয় জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের(University) প্যাডে তারা নিজেদের স্বামী-স্ত্রীর স্বীকৃতি দিয়েছেন। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ইতিমধ্যেই তদন্ত কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই শিক্ষিকাকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে এবং ওই ছাত্রকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের(University) অন্তর্বর্তী উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, “ইউনিভার্সিটির একটা প্যাডের উপর লেখাটা দেখা যাচ্ছে। তাই ওর (শিক্ষিকা) কাছ থেকে যখন ব্যাখ্যা চাওয়া হল, তখন উনি বললেন, স্যার, এটা একটা সাইকোড্রামার অংশ এবং এটা সবার সামনেই করা হয়েছে ক্লাসরুমের মধ্যে একটা ডেমোনস্ট্রেশন হিসাবে। যে কারণে এটা নিয়ে কেউ কোনও কথাবার্তা আর বলেনি।”

উপাচার্য আরও বলেন, “উনি নিজেই(শিক্ষিকা) অনুমতি দিয়েছেন, যাতে সমস্ত জিনিসটা ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা হয়। ওর বক্তব্য, যেহেতু এটা পার্ট অফ দ্য ক্লাস, তাই একটা রেকর্ড থাকবে। তবুও যেহেতু পুরো বিষয়টা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে, তাই পরিষ্কার করে বলা হয়েছে যে, আপনি কিছু দিনের জন্য ছুটিতে থাকুন। একটা তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে। পুরো জিনিসটি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে আমায় কমিটি।”