তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার কলকাতায় নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করে। তাঁদের প্রধান অভিযোগ, একই ইলেক্টর ফটো আইডেন্টিটি কার্ড (EPIC) নম্বর একাধিক ভোটারের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। বৈঠকের পর কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম সাংবাদিকদের বলেন, “প্রত্যেক ভোটারের একটি স্বতন্ত্র আইডি নম্বর (unique id) থাকা আবশ্যক। শারীরিক যাচাইয়ের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে যে বাইরের কেউ যেন এখানে ভোট দিতে না পারে।”
এর আগে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ভোটার তালিকায় অনিয়ম যাচাইয়ের জন্য একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি (Bharatiya Janata Party) মহারাষ্ট্র ও দিল্লির নির্বাচনে ভুয়ো ভোটার যুক্ত করে জয়লাভ করেছে এবং বাংলাতেও একই কৌশল প্রয়োগ করছে। মমতা বলেন, “নির্বাচন কমিশনের অফিসে বসে তাঁরা অনলাইনে ভুয়ো ভোটার তালিকা তৈরি করেছে। হরিয়ানা ও গুজরাট থেকে ভুয়ো ভোটার যোগ করা হয়েছে। কমিশনের সমর্থনে বিজেপি এই কারচুপি চালাচ্ছে।”
তবে, রবিবার নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India) স্পষ্ট করে জানায়, একই ইপিক (EPIC) নম্বর থাকলেও তা ভুয়ো বা দ্বৈত ভোটারের প্রমাণ নয়। সোশ্যাল মিডিয়া ও গণমাধ্যমে উদ্বেগ প্রকাশের পর কমিশন বলে, “ইপিক নম্বর (EPIC Number) যাই হোক, কোনও ভোটার শুধু নিজের নির্ধারিত কেন্দ্রেই ভোট দিতে পারেন, অন্য কোথাও নয়।” এই সমস্যার কারণ হিসেবে তাঁরা জানায়, ইআরওনেট প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তরের আগে পুরনো বিকেন্দ্রীভূত ও ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বিভিন্ন রাজ্য একই সিরিজের নম্বর ব্যবহার করত, যার ফলে এমন বিভ্রান্তি হয়েছে।
ফিরহাদ হাকিম জোর দিয়ে বলেন, “শারীরিক যাচাই ছাড়া ভোটার তালিকার স্বচ্ছতা নিয়ে সন্দেহ থাকবে।” তৃণমূলের দাবি, বিজেপি ভোট কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচনে সুবিধা নিতে চাইছে। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার পর তৃণমূল এই বিষয়ে আরও কঠোর পদক্ষেপের প্রত্যাশা করছে।