নাবালিকাকে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় পাঁচ বছর পর মিলল সুবিচার। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ৩ জনকে ফাঁসির নির্দেশ দিল জলপাইগুড়ির বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক রিন্টু শূর। বৃহস্পতিবার বিচারক এই রায় ঘোষণা করায় খুশি নাবালিকা ছাত্রীর পরিবার।
ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২০ সালের ১০ আগস্ট। জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ এলাকায় ওই নাবালিকাকে প্রথমে অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয়। পরে খুন করে তাঁকে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। ১১ আগস্ট থানায় নিখোঁজ ডায়রি করেন তাঁর পরিবারের লোকজন। তারপরেই বাড়ি থেকে বেশকিছুটা দূরে একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে পচা-গলা দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করার পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল। দেহ লোপাট করতে তা সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয় অভিযুক্তরা। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। ২৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় আদালতে। গতকালই ৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তাদের ফাঁসির সাজা ঘোষনা করা হল।
প্রসঙ্গত, একটি ঘটনায় তিন জনের ফাঁসির সাজা ঘোষণা সাম্প্রতিক সময়ে ঘটেনি। একারণেই এই সাজাকে বিরলতমই বলা হচ্ছে। সরকারপক্ষের আইনজীবীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যাবতীয় সাক্ষ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখে বিচারক অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির সাজা দিয়েছেন।