প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে অধীরের (Adhir Chowdhury) বিদায় স্রেফ সময়ের অপেক্ষা! এমন ইঙ্গিতই মিলেছে কংগ্রেস সূত্রে। সোমবার দিল্লিতে পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল কংগ্রেস হাইকমান্ড। সেই বৈঠকেই অধীরের (Adhir Chowdhury) ইস্তফার কথা জানান পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত নেতা গুলাম মীর।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বেই বাংলায় লড়েছিল ভারতের জাতীয় কংগ্রেস। বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট করে ভোটে লড়ে তারা। মোট ১৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু মাত্র একটি আসনেই জয় পায় শতাব্দী প্রাচীন এই দল। ভোট শতাংশও কমে দাঁড়ায় ৫.৬৭% এ। হেরে যান খোদ প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী।
বাংলায় কংগ্রেসের ভরাডুবির পর থেকেই জল্পনা চলছিল অধীর চৌধুরীকে প্রদেশ সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। সেই সময় নিজেই আগেভাগে পদত্যাগপত্র জমা দেন অধীর। তারপর কয়েক মাস কেটে গিয়েছে। সূত্রের খবর, বিরাট কোনও অঘটন না ঘটলে প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে অধীরের বিদায় স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।
হিন্দুত্বের জিগির তুলে বঙ্গ-‘যোগী’ হওয়াই লক্ষ্য শুভেন্দুর ?
এদিকে অধীরের বিদায় নিশ্চিত হতেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নতুন কংগ্রেস সভাপতির নাম। কে হতে পারেন নতুন সভাপতি? আপাতত আলোচনায় রয়েছে তিনটি নাম। বাগমুণ্ডির প্রাক্তন বিধায়ক নেপাল মাহাতো, ২০১৫ সালে সিপিএম ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া আব্দুস সাত্তার এবং উত্তরবঙ্গের কংগ্রেস নেতা তথা মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর মালাকার।
সূত্রের খবর, এই তিনজন সভাপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকলেও আরও বেশ কয়েকজনের নাম নিয়েও আলোচনা চলছে। তার মধ্যে অন্যতম কংগ্রেসের প্রাক্তন সম্পাদক শুভঙ্কর সরকার। তবে বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদের পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কে হবেন তা নিয়ে সোমবার কিছু স্পষ্ট করা হয়নি।