ডুয়ার্সের বানারহাট ব্লকের কারবালা চা বাগানে এক অস্বাভাবিক এবং আতঙ্কজনক ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সকাল ৬টা নাগাদ বাগানের ১৫ নম্বর ব্লকের ১২৪ নম্বর সেকশনে একটি হস্তিশাবক চা-বাগানের নালায় পড়ে মারা যায়। ঘটনাটি ঘটতে না ঘটতেই পুরো এলাকা অস্থির হয়ে পড়ে, কারণ মা হাতি শাবকের (Elephant Attack) মৃত্যুর পর একাধিক হামলা চালায়, যার মধ্যে বন দফতরের একটি গাড়ির উপর তার ক্ষিপ্ত আক্রমণও ছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রেতীর জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসা একটি হাতির দল ১৫ নম্বর ব্লকের ওই সেকশনে চলে আসে। এই দলটির মধ্যে ছিল একটি শাবক, যা অজ্ঞাত কারণে চা-বাগানের নালায় পড়ে যায় এবং মারা যায়। এ ঘটনার পর মা হাতি এলাকায় তান্ডব চালাতে শুরু করে, এবং ঘটনাস্থলে বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ডলাইফ স্কোয়াডের বনকর্মীরা পৌঁছায়। তারা শাবকটির মৃতদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করে, কিন্তু ঠিক তখনই মা হাতিটি ক্ষিপ্ত হয়ে বনদফতরের একটি গাড়ির উপর আক্রমণ চালায়।
দুদিন নিখোঁজের পর বাড়ির চিলেকোঠা থেকে উদ্ধার উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের দেহ
বন দফতরের গাড়ি সামাল দিতে গিয়ে চালক কোনো রকমে গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন। ঘটনায় তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয় এবং স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে বন দফতরের কাছে সাহায্য চাইতে থাকে। চৌকিদার করন ওরাওয়ের কাছ থেকে জানা গেছে, ঘটনাটি রাতের ডিউটি করার সময় তার কাছ থেকে প্রথম জানতে পারা যায়। বন দফতরকে খবর দেওয়ার পর বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শাবকটির উদ্ধার করতে গিয়ে মা হাতির হামলার শিকার হন।
তিনি জানান, “আমরা সবাই খুব আতঙ্কিত। মা হাতির আক্রমণ আমাদের ভীতি ধরিয়ে দিয়েছে।” এখনো বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে নজরদারি চালাচ্ছেন এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন। স্থানীয়রা বলছেন, “এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি, মা হাতির তান্ডব পুরো এলাকা ভীতিতে ফেলেছে। আমরা আশা করি, শিগগিরই সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।”
সিআইডি রাশিয়ান রাসায়নিক স্প্রে করেছে, সেই সন্দেহে চিকিৎসকের কাছে অর্জুন
এটি শুধু একমাত্র ঘটনা নয়, এমন আরও বেশ কিছু ঘটনা ডুয়ার্সের বিভিন্ন চা-বাগানে ঘটেছে, যেখানে হাতি মায়ের আক্রমণের কারণে বনকর্মী ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তবে, বন দফতর আশা প্রকাশ করেছে যে তারা এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে এবং স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।
এদিকে, স্থানীয়রা বনকর্মীদের প্রতি তাদের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এবং দাবি করছেন, হাতে সময় রেখে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। বিশেষ করে, হাতির মতো বড় জন্তুদের কাছে প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা তৈরি না হলে এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সেজন্য সতর্কতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।