রাজ্য নির্বাচন আধিকারিককে হুমকি? মমতার মন্তব্যের ভিডিয়ো চাইল কমিশন

কলকতা: রাজ্যে ভোটের আগে নতুন বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক (সিইও) মনোজ আগরওয়ালকে প্রকাশ্যে ‘হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে…

Mamata Banerjee, Unite in Criticism Over Soaring North Bengal Flight Fares

কলকতা: রাজ্যে ভোটের আগে নতুন বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক (সিইও) মনোজ আগরওয়ালকে প্রকাশ্যে ‘হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশন। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের ভিডিও ক্লিপিং ও তার অনুবাদ চেয়ে কলকাতার সিইও দফতরে নোটিশ পাঠিয়েছে কমিশন।

Advertisements

কমিশনের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সংঘাত

ঘটনাটি বৃহস্পতিবারের। প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী সোজাসুজি বলেন, “যদি সীমা ছাড়ান, তাঁর দুর্নীতির অভিযোগ আমি প্রকাশ্যে আনব।” উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ও মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। কমিশনের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর এই সংঘাত ভোটের আগে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়িয়েছে।

Advertisements

২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম কোনও রাজ্য নির্বাচন আধিকারিককে এভাবে আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সিইও-র বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে হলে তা প্রমাণ-সহ লোকপালের কাছে পাঠাতে হয়।

সরব  বিজেপি Election Commission Notice to CM

এদিকে বিজেপি ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সরব। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়কদের একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার রাজ্যের সিইও দফতরে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে লিখিত অভিযোগ জমা দেয়। তাঁদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য সংবিধানিক কাঠামোর প্রতি চরম অসম্মান।

বিজেপির অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, “যখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে সেই আধিকারিকদের হুমকি দেন, যাঁদের দায়িত্ব নির্বাচনের নিরপেক্ষতা রক্ষা করা, তখন তা প্রশাসনের মধ্যে ভয় ও পক্ষপাতের বার্তা ছড়িয়ে দেয়।”

অবস্থান বিক্ষোভ

বিরোধী দলের তরফে সতর্ক করে বলা হয়েছে, সোমবারের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী যদি তাঁর অভিযোগের প্রমাণ না দেন, তবে তারা নির্বাচন কমিশনের দফতরের বাইরে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান বিক্ষোভে বসবে।

রাজনৈতিক মহল বলছে, নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য প্রশাসনের এই মুখোমুখি অবস্থান ভোটের আগেই রাজনৈতিক সমীকরণকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। এখন নজর কমিশনের পরবর্তী পদক্ষেপে।