হোটেল ব্যবসার আড়ালে মানব পাচারের চক্রান্ত? কলকাতা জুড়ে ইডির তল্লাশি অভিযান

ED Human Trafficking Raids

মানব পাচার মামলায় ফের সক্রিয় ইডি। শুক্রবার সকাল থেকেই কলকাতা ও শিলিগুড়ির একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। অভিযানের লক্ষ্য, শহরের প্রভাবশালী কয়েক ব্যবসায়ী এবং এক সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। অভিযোগ, হোটেল ব্যবসার আড়ালে চলত মানব পাচারের আন্তর্জাতিক চক্র, আর তার সঙ্গেই যুক্ত ছিল বিপুল অর্থ লেনদেনের ছক।

Advertisements

পাঁচ-ছ’ জায়গায় একযোগে হানা

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন কলকাতায় পাঁচ থেকে ছ’টি জায়গায় একযোগে হানা দেন তদন্তকারীরা। নাগেরবাজারে এক ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি এবং সল্টলেকের দু’জন হোটেল ব্যবসায়ীর বাসভবনে চলছে তল্লাশি। সল্টলেকের যিনি মূল অভিযুক্ত, তিনি শহরের একাধিক হোটেল ও বারের মালিক বলে জানা গেছে। একইসঙ্গে, ইডির আরেকটি দল শিলিগুড়িতেও মানব পাচার মামলার সূত্রে অভিযান চালাচ্ছে।

   

এফআইআর দায়ের ED Human Trafficking Raids

তদন্তকারীদের দাবি, এটি কোনও নতুন মামলা নয়, বাগুইআটির একাধিক বছর পুরনো মানব পাচারের ঘটনার প্রেক্ষিতেই এই এফআইআর দায়ের হয়। প্রাথমিক তদন্ত শেষে পুলিশ মামলাটি ইডির হাতে তুলে দেয়। শুক্রবার এই মামলার প্রথম বড়সড় তল্লাশি অভিযান শুরু করল কেন্দ্রীয় সংস্থা।

ইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, নাগেরবাজারের ইঞ্জিনিয়ার ও সল্টলেকের ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরেই গোয়েন্দাদের নজরে ছিলেন। তাঁদের ব্যাঙ্ক নথি ও সম্পত্তির বিবরণ যাচাই করা হচ্ছে। ইডি সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করারও প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর।

Advertisements

একাধিক মামলায় সক্রিয় ইডি

উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্যে একাধিক মামলায় ইডির কার্যকলাপ তীব্র হয়েছে। ঠিক বৃহস্পতিবারই বালি পাচার মামলায় কলকাতা থেকে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে তারা। রাতেই তাঁকে হাজির করানো হয় আলিপুর আদালতে, যেখানে বিচারক এক দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন।

এই ধারাবাহিক অভিযান ইঙ্গিত দিচ্ছে, আর্থিক অপরাধ ও পাচারচক্রে যুক্ত শহুরে নেটওয়ার্কগুলির বিরুদ্ধে আরও বিস্তৃত পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।