যেন গোদের উপর বিষফোড়া! ভারী বর্ষণের মাঝেই জল ছাড়ছে ডিভিসি, বাংলায় বন্যার শঙ্কা

বৃষ্টি হয়েই চলেছে। রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাসও। জল বাড়ছে নদীগুলোর। দুর্ভোগের শেষ নেই দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দাদের। এসবের মধ্যেই এবার জল ছাড়তে শুরু করল ডিভিসি। দুর্গাপুর ব্যারাজ, পাঞ্চেত…

DVC began release water in the midst of rain fear of floods bengal, ভারী বর্ষণের মাঝেই জল ছাড়ছে ডিভিসি, বাংলায় বন্যার শঙ্কা

বৃষ্টি হয়েই চলেছে। রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাসও। জল বাড়ছে নদীগুলোর। দুর্ভোগের শেষ নেই দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দাদের। এসবের মধ্যেই এবার জল ছাড়তে শুরু করল ডিভিসি। দুর্গাপুর ব্যারাজ, পাঞ্চেত ও মাইথন জলাধার থেকে জল ছাড়া হচ্ছে। ফলে একাধিক নদীর জলস্তর বাড়ছে। আশঙ্কা, ভাসতে পারে হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমানের বিস্তীর্ণ অংশ।

কোন জলাধার থেকে কত কিউসেক জল ছাড়া হল?

   

দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ইতিমধ্যে ৭০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। মাইথন জলাধার থেকে ১২ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। ৩৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে পাঞ্চেত জলাধার থেকে। বীরভূমের তিলপাড়া বাঁধ থেকে ৫,৫৫৮ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গের তিস্তা-গজলডোবা ব্যারেজ থেকে ২৫৯৯.৫৩ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে।

ভোরে ঘন্টা দু’য়েকের ভারী বৃষ্টির পরও অচেনা কলকাতা, জল জমেনি ঠনঠনিয়া, আমহার্স্ট স্ট্রিটে

ডিভিসি আরও জল ছাড়লে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা একাধিক জেলায়। ইতিমধ্যেই রাজ্যের শাসক দলও একই শঙ্কা প্রকাশ করে নিশানা করেছে ডিভিসি-কে।

জটিল অবস্থা উত্তরবঙ্গের-

ফুঁসছে তিস্তা। তিস্তায় জলস্তর বাড়ায় অবস্থা জটিল হচ্ছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোরও। এদিকে আগামী কয়েক দিন উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। এই পরিস্থিতিতে তিস্তা নদীর সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। দোমহনী এবং মেখলিগঞ্জে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে।

বাংলায় কবে গড়াবে ‘বন্দে ভারত মেট্রো’র চাকা? প্রথম চলবে কোন রুটে?

হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস-

ঝাড়খণ্ডের উপরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। তার প্রভাবে রাজ্যে বৃষ্টি হচ্ছে। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে। তবে দক্ষিণবঙ্গে শনিবার বিকেল থেকেই বৃষ্টি কমবে। দক্ষিণবঙ্গে আপাতত কোনও জেলায় আবহাওয়া সংক্রান্ত সতর্কতা নেই। উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং কালিম্পং— এই পাঁচ জেলাতেই বুধবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস।