SIR নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ‘গোপন ম্যাপিং’ অভিযোগ শাসক দলের!

during-sir-tmc-vs-bjp-voter-list-mapping-west-bengal

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (TMC vs BJP) এগিয়ে আসতেই রাজনৈতিক অন্দরে তীব্র আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া। আর সেই প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে বিজেপির বিরুদ্ধে ‘গোপন ম্যাপিং’র অভিযোগে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক মহল। দাবি উঠছে, গত নির্বাচনে ১০–২৫ হাজার ভোটে পরাজিত মোট ১২৩টি আসনকে বিশেষ নজরে রেখে ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার এক ‘নীরব অভিযান’ চালাচ্ছে পদ্ম শিবির।

Advertisements

সূত্রের দাবি, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর এবং পূর্ব-পশ্চিম বর্ধমান জেলায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় ‘ম্যাপিং’ হয়েছে। বিশেষত—

   

৫–১০ হাজারে হারা আসন

১০–২০ হাজারে হারা আসন

নির্বাচনের আগে কর্মীদের মনোবল বাড়াতে এই কর্মসূচির পরিকল্পনায় বঙ্গ বিজেপি!

২০–২৫ হাজারে হারা আসন

এই তিন বিভাগে ভাগ করে টার্গেট করা হয়েছে ১২৩ বিধানসভা কেন্দ্র। বিজেপির অভিযোগহীন ভিতর সূত্র বলছে, সংখ্যালঘু ও তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ অঞ্চলে ‘কৌশলগতভাবে’ ম্যাপিং করা হয়নি।

তৃণমূলের দাবি, কেবল মৃত বা স্থানান্তরিত ভোটারের নাম বাদ দেওয়া নয়, বরং বৈধ ভোটারদেরও বাদ দেওয়ার কৌশল সাজিয়েছে বিজেপি।

Advertisements

এসআইআর’র কাজ শুরু হতেই মালদহসহ বিভিন্ন জেলায় ৫,০০০–৮,৫০০ পর্যন্ত অনুপস্থিত ভোটারের তথ্য উঠে এসেছে। মালদহে ১৫ দিনের কাজেই ৭১৭১ ভোটার ‘অসনাক্ত’ প্রশ্ন তুলছে, খসড়া তালিকা প্রকাশের দিনে সংখ্যাটা আরও বাড়বে কি?

সূত্র বলছে, বিহারে এসআইআর প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত বিজেপির একটি বিশেষ টিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। প্রতিদিন নাকি কলকাতা থেকে অগ্রগতির রিপোর্ট পৌঁছে যাচ্ছে দিল্লিতে। কমিশনের নিজস্ব প্রক্রিয়ার পাশাপাশি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও পৃথক ম্যাপিং চালাচ্ছে বলে দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

তৃণমূলের অভিযোগ, ১ কোটি ১৫ লক্ষ ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ‘টার্গেট’ রেখেছে বিজেপি। জোড়াফুল শিবির দাবি করছে, বাংলায় বিজেপির সংগঠন দুর্বল; বিহারের মতো ‘ফাঁকা মাঠ’ তারা পাবে না।

বিজেপির ১২৩ আসনের তালিকায় রেখেছে, মতুয়া অধ্যুষিত এলাকা, রাজবংশী প্রধান উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলের আদিবাসী বেল্ট। তবে গেরুয়া শিবিরও স্বীকার করছে, গতবারের ২০–২২ জন বিজয়ী বিজেপি বিধায়ক এবার ফেরার সম্ভাবনা কম। তাই ক্ষতি পোষাতে ১২৩ মার্জিনাল সিটে জয়ই তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য।