কলকাতার দুর্গাপুর সেতু শনিবার দুপুর ২টো থেকে সোমবার সকাল (KMDA) ৬টা পর্যন্ত মোট ৫২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে। কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (KMDA) জানিয়েছে, সেতুর লোড টেস্ট বা ভারবহন ক্ষমতার পরীক্ষা করা হবে। এই পরীক্ষার জন্য সেতু বন্ধ রাখা হয়েছে। দুর্গাপুর সেতু নিউ আলিপুর এবং চেতলাকে যুক্ত করেছে এবং এটি ডিরোজিও সেতু নামেও পরিচিত। এই সেতুটি কলকাতার একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল, এবং দীর্ঘ সময় ধরে এটি বন্ধ থাকার কারণে কলকাতার যান চলাচলে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে।(KMDA)
দুর্গাপুর সেতুর উপর ভরসা করে হাজার হাজার যানবাহন (KMDA) প্রতিদিন চলাচল করে, বিশেষত বেহালা ও নিউ আলিপুর এলাকায়। সেতুর বন্ধ থাকায়, এই এলাকার যান চলাচলে বিপর্যয় ঘটতে পারে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, দুর্গাপুর সেতু বন্ধ থাকায় উত্তরমুখী যানবাহনগুলিকে নিউ আলিপুর ট্র্যাফিক আইল্যান্ড থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। দক্ষিণমুখী গাড়িগুলিকে আলিপুর রোড এবং গোবিন্দ আঢ্য রোডের ক্রসিং থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। এটি সাময়িকভাবে মানুষের ভোগান্তির কারণ হতে পারে, তবে পুলিশ এবং প্রশাসন যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখবে(KMDA)
দুর্গাপুর সেতু একটি গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প রুট হিসেবে কাজ করে(KMDA) বেহালা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দাদের জন্য। দীর্ঘদিন ধরে সেতুর নীচে অবস্থিত বস্তিতে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর সেতুর নিচের অংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল, এবং(KMDA) এর পর থেকেই সেতুতে ভারী যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ফলে কংক্রিটের আর্দ্রতা শুকিয়ে গিয়ে সেতুর কাঠামো মারাত্মকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। সেই থেকেই সেতুর উপর ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এবং এখন লোড টেস্টের মাধ্যমে KMDA এটি পরীক্ষা করতে চাইছে যে সেতু বর্তমানে কতটা ভার বহন করতে সক্ষম(KMDA)
এই লোড টেস্ট পরীক্ষা সেতুর উপর চাপ সৃষ্টি করে তার শক্তি (KMDA) স্থায়িত্ব পরিমাপ করবে। KMDA কর্তৃপক্ষ আশা করছে যে পরীক্ষার পর সেতুটি আবার জনসাধারণের জন্য ব্যবহার উপযোগী হয়ে উঠবে। কিন্তু এই ৫২ ঘণ্টার বন্ধ থাকার কারণে কলকাতার সড়কপথে প্রচণ্ড যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে বেহালা এবং নিউ আলিপুর অঞ্চলের বাসিন্দারা এই সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হতে পারেন।(KMDA)
তবে, কলকাতা পুলিশ এবং KMDA ইতিমধ্যেই এই সমস্যার সমাধানে কাজ শুরু করেছে। যাত্রীদের জন্য বিভিন্ন বিকল্প পথ ও রুট ঘোষণা করা হয়েছে যাতে তারা সহজে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন। ইতিমধ্যে, পুলিশ প্রশাসন সতর্কতা অবলম্বন করেছে এবং পথচারীদের ও গাড়িচালকদের জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে(KMDA)
এছাড়া, যারা দুর্গাপুর সেতু দিয়ে যাতায়াত করেন, তাদের জন্য কিছু বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তা ও ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা রাস্তায় অবস্থান করবেন যাতে যানবাহন দ্রুত চলাচল করতে পারে এবং যাতে কোনও ধরণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়(KMDA)
সেতুর লোড টেস্টের সময়কার এই বন্ধের সিদ্ধান্ত কেবল কলকাতার বাসিন্দাদের জন্য নয়, বরং পুরো শহরের পরিবহন ব্যবস্থার জন্য একটি বড় পরীক্ষা হতে যাচ্ছে। KMDA কর্তৃপক্ষের কাছে এই পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি সেতুর নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যতে এর উপযোগিতা নিয়ে পরিষ্কার ধারণা দিতে সাহায্য করবে(KMDA)
এমন পরিস্থিতিতে, কলকাতাবাসীকে একযোগে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে এবং সরকারী নির্দেশিকা অনুসরণ করে চলতে হবে। পুলিশ এবং অন্যান্য প্রশাসনিক সংস্থাগুলোর কঠোর নজরদারি থাকায় আশা করা যায় যে এই বন্ধের সময়ে কোনও বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হবে না।(KMDA)