বনধের ধাক্কা সামলাতে হেলমেট পড়লেন বাস চালকরা

নবান্ন অভিযান চলাকালীন ছাত্রদের ওপর পুলিশি অত্যাচার এবং আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপির বনধ চলছে। আজ সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা অবধি সমগ্র রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টার…

নবান্ন অভিযান চলাকালীন ছাত্রদের ওপর পুলিশি অত্যাচার এবং আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপির বনধ চলছে। আজ সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা অবধি সমগ্র রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের ডাক (Bengal Bandh) দেওয়া হয়েছে বঙ্গ গেরুয়া শিবিরের তরফে। এদিকে এই বনধের মাঝেই শহরে বাস চালকদের হেলমেট পড়ে থাকতে দেখা গেল। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।

আজ বিজেপির ডাকা বনধের তেমন প্রভাব কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে দেখা না গেলেও উত্তরবঙ্গে বেশ প্রভাব পড়েছে। কোচবিহারে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের বাসের চালকদের হেলমেট পরে থাকতে দেখা যায়। এক বাসচালক বলেন, ‘বনধের কারণে আজ হেলমেট পরছি। ডিপার্টমেন্ট আমাদের হেলমেট দিয়েছে।’

   

শুধু তাই নয়, বাংলার বনধের জেরে হাওড়ায় বাস চালকরা হেলমেট পরে কাজ করছেন। চালকরা বলছেন, নিরাপত্তার কারণে তাঁরা হেলমেট পড়েছেন। বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া বলেন, ‘আজ বাংলা বনধ চলছে। রাজ্যের পুলিশ আইনশৃঙ্খলা সামলাতে ব্যর্থ। আমরা এখান থেকে নড়ব না, লড়াই চালিয়ে যাব। বাংলার আলিপুরদুয়ারে আটক করা হয় বিজেপি কর্মীদের। নবান্নের আন্দোলনকারীদের উপর দমন-পীড়নের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কর্মীরা।’

বঙ্গবঙ্গ বনধের সমর্থনে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ স্টেশনে অশোক কীর্তিনিয়ার নেতৃত্বে ট্রেন আটকে দেন বিজেপি কর্মীরা। অগ্নিমিত্রা পল বলেন, ‘মমতা সরকারের মনোভাব অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। তাদের মেরুদণ্ড নেই। পুলিশ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করেছে। তারা রাসায়নিক মিশিয়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান ব্যবহার করে। এই সরকার নারীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।’

এদিকে গতকাল মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যউপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বুধবার বনধ করতে দেবে না রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার পুলিশ লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ও জলকামান ব্যবহার করে নওয়ান্নার দিকে মিছিল করা জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।