আজ সন্ধে ৭ বেজে ১৫ মিনিটে তৃতীয়বারের জন্য শপথ নিচ্ছেন মোদী। এই আবহেই দেশ বিদেশের নামী ব্যক্তি থেকে বহু দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে। আর সারা দেশের রাজনৈতিক নেতানেত্রীদেরও আমন্ত্রণ থাকতে আহ্বান জানানো হয়েছে। শুধু এনডিএ জোটের শরিক নয়, বিরোধী দলের অনেক সুপ্রিমোদেরও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে ডাক পেয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি অনুষ্ঠানে থাকবেন না বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাবেন বলে জানা গিয়েছে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, ইন্ডি জোটের দুই কাণ্ডারি দলের এমন মতানৈক্য কি শোভা পায়?
শনিবার কালীঘাটে জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তারপরেই তিনি জানিয়েদেন যে আমন্ত্রণ পেলেও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকছে না ঘাসফুল শিবির। শুধু তাই নয়, এই সরকার বেশীদিন থাকবে না বলেও দাবি করেন তিনি। রবিবার সকালে দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে ঘাসফুলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই কথা জানান। অন্যদিকে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে আজ কংগ্রেসের সভাপতি খাড়গে উপস্থিত থাকবেন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। সূত্রের খবর, নিজের দল এবং জোটের বাকি শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করেই রাইসিনা হিলসে উপস্থিত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি।
গত কাল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে লোকসভায় বিরোধী দলনেতার পদ গ্রহণ করতে অনুরোধ করা হয় রাহুল গাঁধীকে। এই নিয়ে পরে নিজের সিদ্ধান্ত নেবেন রাহুল, এমনই খবর সূত্রে। তবে, সনিয়া গাঁধী যে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের চেয়ারপার্সন হতে চলেছেন সে কথা নিশ্চিত। এর মধ্যেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়। তবে জোটের শরিকদলগুলির সঙ্গে কথা বলে কংগ্রেস সভাপতির এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিতি আলাদা বার্তা দিতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।গত কাল তিন ঘণ্টার বৈঠকে দলের নির্বাচনী পারফরম্যান্স নিয়েও কাঁটাছেড়া চলেছে বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি, এর পরে ঠিক কী ভাবে তারা এগোবে, সেই নিয়ে একটি ভাবনা তৈরি করেছে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি।