“কোনও ভাষাকে অশ্রদ্ধা মনুবাদী সংস্কৃতির অঙ্গ”, বাংলাপক্ষকে বার্তা প্রদেশ কংগ্রেসের

গতকাল শুক্রবার মহানগরীর বুকে ঘটে গেছে ডবল মারপিটের ঘটনা (Congress)। প্রথমত প্রধানমন্ত্রী সম্বন্ধে রাহুল গান্ধীর আলটপকা মন্তব্যকে ঘিরে বিজেপির বীরেরা চড়াও হয় প্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান…

Congress

গতকাল শুক্রবার মহানগরীর বুকে ঘটে গেছে ডবল মারপিটের ঘটনা (Congress)। প্রথমত প্রধানমন্ত্রী সম্বন্ধে রাহুল গান্ধীর আলটপকা মন্তব্যকে ঘিরে বিজেপির বীরেরা চড়াও হয় প্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান কার্যালয় বিধান ভবনে। ঠিক তার অব্যবহিত পরেই সমবেদনা জানাতে এসে মার খায় বাঙালির অধিকার নিয়ে লড়াই করা বাংলা পক্ষ।

সবচেয়ে বড় কথা কংগ্রেসের ই তিনজন হিন্দিভাষী নেতা বাংলাপক্ষকে চপেটাঘাত করে। ঘটনার গতি প্রকৃতি দেখে অনেকেই সমালোচনা করেছিলেন যে বাংলাপক্ষ তাদের নিজস্ব ভঙ্গিতে হিন্দিভাষী মানুষদের অপমান করা শুরু করেছিল।

   

কিন্তু হিন্দিভাষীরা কেন তাদের ভাষার অপমান শুনবে। তাই কংগ্রেসের হিন্দিভাষী নেতারাও গতকাল বাংলাপক্ষ নামক এই সর্বঘটে কাঁঠালীকলা সংগঠনকে বুঝিয়ে দিয়েছে যে বাঙালি অস্মিতার মতোই হিন্দি অস্মিতা বলেও একটা কথা আছে।

কিন্তু ঘটনাটা এখানেই শেষ হলে ভালো হত। কিন্তু তা হয়নি। আজ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি শুভঙ্কর সরকার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে অফিসিয়ালি বলেছেন যে কোনো ভাষাকেই ছোট করা কারুর অধিকারের মধ্যে পড়েনা। তিনি বলেছেন “বাংলা ভাষাভাষীদের উপর আক্রমণের ঘটনায় যেমন আমরা সরব হয়ে পথে নেমেছি তেমনই সমস্ত ভাষা ও ধর্মের প্রতি আমরা সমান ভাবে শ্রদ্ধাশীল।”

তিনি আরও বলেছেন “কোনো ভাষাকে অশ্রদ্ধা করা হলো মনুবাদী সংস্কৃতির অঙ্গ। আমরা তীব্র ভাবে এই সংস্কৃতির বিরোধিতা করি।” শুভঙ্করের বিবৃতিতে আরও দেখা যাই তিনি বলছেন “এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, কংগ্রেস দফতর কোনো বিশেষ পক্ষের আখড়া নয়, এই দফতর কেবল মানুষের পক্ষে। “

নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান”– এই বহুত্ববাদী ধারণাই আমাদের পবিত্র সংবিধানের নির্যাস, কংগ্রেস সেই ধারণাকেই লালন করে এসেছে, এখনো লালন করে।”

Advertisements

স্বভাবতই এই বিবৃতিতে মুখ পুড়েছে বাংলাপক্ষের। ব্যাপার তা হয়ে দাঁড়িয়েছে “যার জন্য করি চুরি সেই বলে চোর।” তাই এই অপমানের জবাবে বাংলাপক্ষ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কৌশিক মাইতি তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে শুভঙ্কর সরকারকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন শুভঙ্কর কাল হাত জোর করে ক্ষমা চেয়েছিলেন কিন্তু আজ হঠাৎ করে তার বয়ান বদলে গেল কেন?

কৌশিকের বক্তব্য বাঙালিদের পাশে না দাঁড়িয়ে কেন তিনি অবাঙালিদের পাশে দাঁড়াবেন। যারা গতকাল বাংলাপক্ষকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করেছে। এর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সমোলোচকরা বলেছেন প্রথমত উপযাজক হয়ে কাল বিধানভবনে যাওয়া উচিত হয়নি তাদের। আবার অনেকে বলেছেন শুভঙ্কর দলনেতা তাই দলের স্বার্থে তাকে বাঙালি কিংবা অবাঙালি সবার পাশেই দাঁড়াতে হবে।

শিল্প ও পরিষেবায় উল্লম্ফন, প্রথম ত্রৈমাসিকে রেকর্ড GDP প্রবৃদ্ধি

আবার সমালোচককুলের একাংশের মতে রাজনীতিতে কোনটা সত্যি কোনটা মিথ্যে বোঝা বড় দায়। তাই কোনো রাজনৈতিক নেতা ক্ষমা চাওয়ার পরেই যে আবার পিচগন থেকে চুরি মারতে পারে তা প্রত্যেকদিনের রোজনামচা হয়ে দাঁড়িয়েছে তা বলাই বাহুল্য।