বিক্ষোভের মুখে মেজাজ হারালেন দিলীপ, বাপ তুলে তুমুল বাকবিতণ্ডা, বললেন গলা টিপে দেব

খড়গপুর: শুক্রবার খড়গপুর শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে রাস্তা উদ্বোধন করতে গিয়ে মেজাজ হারালেন বিজেপি-র প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। রাস্তা উদ্বোধন করতে গিয়ে একদল বিক্ষুব্ধ মহিলার…

Dilip Ghosh Road Inauguration Protest 

খড়গপুর: শুক্রবার খড়গপুর শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে রাস্তা উদ্বোধন করতে গিয়ে মেজাজ হারালেন বিজেপি-র প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। রাস্তা উদ্বোধন করতে গিয়ে একদল বিক্ষুব্ধ মহিলার মুখোমুখি হন তিনি। আগে জল, পড়ে রাস্তার দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন ওই মহিলারা। বিক্ষুব্ধ মহিলাদের সঙ্গে বাদানুবাদেও জড়িয়ে পড়েন দিলীপ৷ মহিলারা প্রাক্তন সাংসদকে দেখা সপাটে প্রশ্ন করেন, “যখন রাস্তার সমস্যা ছিল, তখন কোথায় ছিলেন আপনি?” এই প্রশ্নে উত্তেজিত হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “কারও বাপের টাকায় করিনি রে, টাকা দিয়েছি।”

আপনি বাপ তুললেন কেন? Dilip Ghosh Road Inauguration Protest 

এরপর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এক মহিলা দিলীপকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনি বাপ তুলে কেন কথা বলছেন?” এর উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, “বেশ করেছি, চোদ্দো পুরুষ তুলব। গলা টিপে দেব।” এর সঙ্গে সঙ্গে মহিলারা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং বলেন, “কেন আপনি বাপ তুলে কথা বলছেন? এতদিন কোথায় ছিলেন? এখন কেন এসে রাস্তার উদ্বোধন করছেন?”

   

আমি ভিখারি পার্টি নয়  Dilip Ghosh Road Inauguration Protest 

এদিন দিলীপ ঘোষকে দেখতে পেয়ে একাধিক মহিলা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, “দিলীপ ঘোষ এখন আর সাংসদ বা বিধায়ক নয়, তাহলে কীভাবে তিনি রাস্তার উদ্বোধন করতে এসেছেন?” এই পরিস্থিতির মধ্যে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমি টাকা দিয়েছি, কারও বাপের টাকা নয়। আমি ভিখারি পার্টি নয়।” তার এই মন্তব্যে উত্তেজনা আরও বাড়ে এবং মহিলারা তাকে জবাব দিতে থাকেন।

Advertisements

বিজেপির দাবি, এটি পুরোপুরি তৃণমূলের চক্রান্ত। দিলীপ ঘোষও বলেন, “এরা সব তৃণমূলের লোক, যারা প্রতিবাদ জানাচ্ছে।” তবে, এই ঘটনায় খড়গপুরের স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন করে উত্তাপ দেখা দিয়েছে এবং পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। জানা গিয়েছে, এদিন রাস্তা উদ্বোধন না করেই ফিরে আসেন দিলীপ৷ 

West Bengal: Former BJP MP Dilip Ghosh faces protests during a road inauguration in Kharagpur. Women demand water before roads, leading to heated exchanges. Controversial remarks spark outrage. The incident highlights local grievances and political tensions in Ward 6.