‘পার্টি চায় না আমি যাই’, মোদীর সভা এড়িয়ে দিল্লি গেলেন দিলীপ

কলকাতা: দুর্গাপুরে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভা। কিন্তু সেখানে অনুপস্থিত থাকবেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম মুখ দিলীপ ঘোষ। সকালের দিকেই দিল্লির বিমানে চড়েছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন…

Dilip Ghosh excluded from Modi event

কলকাতা: দুর্গাপুরে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভা। কিন্তু সেখানে অনুপস্থিত থাকবেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম মুখ দিলীপ ঘোষ। সকালের দিকেই দিল্লির বিমানে চড়েছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি (Dilip Ghosh going to delhi)। আর তাতেই ফের মাথাচাড়া দিয়েছে জল্পনা, বিজেপির অন্দরের ঠান্ডা যুদ্ধ কি আরও প্রকট হল?

Advertisements

দিল্লি রওনা দেওয়ার আগে কী বললেন দিলীপ?

কলকাতা বিমানবন্দরে দিল্লি রওনা দেওয়ার আগে দিলীপ বলেন, “আমার কিছু কর্মীরা আগে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তাই রাজি হয়েছিলাম। কিন্তু পার্টি ডাকেনি। হয়তো চায়ও না আমি সভায় যাই। অস্বস্তি হবে, তাই যাচ্ছি না।”

Advertisements

সরাসরি নাম না করলেও, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যে তাঁর দূরত্ব স্পষ্ট, সেটা বোঝাই গেল। তবে অস্বস্তি এড়াতে দিল্লি উড়ে যাওয়া? সে প্রসঙ্গে দিলীপের জবাব, “পার্টিরই বিশেষ কাজে যাচ্ছি দিল্লি।” তবে প্রশ্ন উঠছে, সেই ‘বিশেষ কাজ’-বাংলায় মোদীর সভার দিনেই কেন পড়ল?

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া 

মাত্র একদিন আগেই দিলীপ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, “আমরা থাকছি, আপনিও আসুন।”
সেই পোস্টে ছিল প্রধানমন্ত্রীর সভায় যোগদানের বার্তা। আর সেই তিনিই সভার দিনেই থাকছেন না,  স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির অন্দরে তৈরি হয়েছে জল্পনার ঝড়।

এই ঘটনাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁর কথায়, “রাজ্যে বিজেপির অবস্থা এমনই করুণ যে মোদী আসছেন, তার চেয়েও বড় খবর, দিলীপ ঘোষ যাচ্ছেন কি না! এটা এখন আর রাজনৈতিক দল নয়, সার্কাস পার্টি।”

সম্পর্ক মেরামতির ইঙ্গিত

দীর্ঘদিন ধরেই দিলীপ ঘোষের সঙ্গে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সম্পর্ক ঠান্ডা। নতুন সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার পর অবশ্য সেই সম্পর্ক মেরামতির ইঙ্গিত মিলেছিল। দিলীপের সঙ্গে বৈঠকও হয়। তিনি বলেছিলেন, “আমি লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত।” তবে আজকের দিল্লি যাত্রা কি সেই মেরামতির পথে ফের ধাক্কা?

এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সদ্য প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “দিলীপদাকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ডেকেছেন। পার্টির কাজেই যাচ্ছেন।” কিন্তু সেই কাজের সময়টাই যখন মোদীর সভার দিনেই পড়ে, তখন প্রশ্ন উঠবেই- এটা নিছকই সমাপতন, না কি দলীয় দূরত্বের স্পষ্ট ইঙ্গিত?