বাংলায় SIR নিয়ে অখুশি দিলীপের বিস্ফোরক মন্তব্য

ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন বা SIR নিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়েছিল বিহার (Bengal Assembly Election)। বিহারের SIR এ প্রায় ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম ব্যাড পড়ে সরব…

Bengal Assembly Election and dilip ghosh

ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন বা SIR নিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়েছিল বিহার (Bengal Assembly Election)। বিহারের SIR এ প্রায় ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম ব্যাড পড়ে সরব হয়েছিলেন বিরিধীরা। তারপর একের পর এক মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। শেষমেশ ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য আধার কার্ডকে মান্যতা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বাংলাতেও বেজে গিয়েছে SIR এর দামামা।

শুরু হয়ে গিয়েছে নির্বাচনী আধিকারিকের প্রশিক্ষণ। কিন্তু বাংলায় SIR নিয়ে মোটেই খুশি নন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সময় তিনি বলেন বিএলও (বুথ লেভেল অফিসার) নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন স্থায়ী কর্মচারীদের বিএলও হিসেবে নিয়োগ করার নির্দেশ দিলেও, শাসকদল (টিএমসি) তাদের নিজেদের লোকদের, যেমন চুক্তিভিত্তিক কর্মী, পুলিশ এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়োগ করছে।

   

নিয়োগপ্রাপ্তদের বেশিরভাগই শাসকদলের নেতাদের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন। এর ফলে ভোটার তালিকা যাচাইয়ের কাজ স্বচ্ছভাবে হবে না। দিলীপ ঘোষ কার্যত তার মন্তব্যে স্পষ্ট করে দিয়েছেন বাংলায় ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন হলেও বিজেপি যে ড্যামেজ চাইছে সেই ড্যামেজ হবে না। অর্থাৎ যাদের ভোটার তালিকাতে নাম থাকার কথা নয়, সরকারের বদান্যতায় তারাও এই নতুন তালিকায় জায়গা পাবেন।

Advertisements

একসময়কার বিজেপির শীৰ্ষ নেতৃত্ব দিলীপ ঘোষ এই মুহূর্তে বিজেপিতে কোনঠাসা হলেও রাজনৈতিক মহলের একাংশ তার বক্তব্যকে মান্যতা দিয়েছেন। তারা বলেছেন দিলীপ ঘোষ একজন অভিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব। এই বাংলায় বিজেপির জমি শক্ত হয়েছে দিলীপের হাত ধরেই। সুতরাং এখন বিজেপি তাকে নিস্কর্মা করে রাখতেও পারে কিন্তু দিলীপের অভিজ্ঞতার দাম আছে।

ইয়ট পার্টিতে বিপদ! মদ্যপ ছিলেন জুবিন? শেষ মুহূর্তে কি ঘটেছিল?

আবার অনেকেই মনে করেছেন বাংলায় SIR হলে তা স্বচ্ছ ভাবেই হবে। বিহারে যেভাবে SIR হয়েছিল বাংলাতেও ঠিক একই ভাবে ভোটার তালিকা সংশোধন হবে। এবং তার সঙ্গে অবৈধ এবং সন্দেহজনক ভোটাররা তালিকার বাইরে যাবে। কিন্তু অনেকেই মন্তব্য করেছেন যে শীর্ষ আদালতের রায়ে এখন প্রামাণ্য নথির মধ্যে আধার কার্ডও রয়েছে। সুতরাং এমন অনেক ভুয়ো ভোটার আছেন যারা শাসক দলের নেতাদের ব্যবহার করে ভুয়ো আধার কার্ড তৈরী করে নিচ্ছেন যার ফলে আসল নকল খুঁজে বের করা কঠিন হবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে।