ভোটের দিন বর্ধমান-দুর্গাপুরের দিলীপ ঘোষ ও কীর্তি আজাদ মুখোমুখি হয়েছিলেন মন্তেশ্বর বিধানসভার কুসুমগ্রাম বাজারে। তখন পর্যন্ত বোঝা যায়নি বেলা বাড়তেই পরিস্থিতি এমন ভয়াবহ হবে। সেসময় দুই দলের দুই প্রার্থী মুকোমুখি হতেই একে অপরের দিকে হাত জোড় করে এগিয়ে গিয়েছিলেন। হাসিমুখে বাক্য বিনিময়ও করেছিলেন। একজন অন্যজনতে জড়িয়েও ধরেন। কিন্তু সৌজন্যের এই পরিস্থিতি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। চতুর্থ দফার ভোটে ধুন্ধুমার মন্তেশ্বর। সেখানে বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। তাঁর গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন একাধিক তৃণমূল কর্মী। এমনকী, দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তায় থাকা জওয়ানদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের গাড়ি আটকে দেওয়া হল রাস্তাতেই। কিছুতেই এগোতে দেবেন না তাঁরা দিলীপ ঘোষকে, সরব হলেন তৃণমূল কর্মীরা। গাড়ির সামনেই শুয়ে পড়লেন তৃণমূলকর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামল বিরাট পুলিশ বাহিনী।
#WATCH | Paschim Bardhaman, West Bengal: TMC supporters allegedly pelted stones on the vehicle of BJP candidate from Bardhaman-Durgapur Lok Sabha seat, Dilip Ghosh. pic.twitter.com/tYfZ3j2QoF
— ANI (@ANI) May 13, 2024
মন্তেশ্বরে দিলীপ ঘোষ যেতেই তাঁকে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। তাঁকে দেখেই গো-ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়। বলা হয় ‘দিলীপ ঘোষ মুর্দাবাদ’ও। দিলীপের গাড়ি সামনে শুয়ে পড়ে তাঁর পথ আটকাতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। সেই সময়ে গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন দিলীপ! তাতেই আরও উত্তেজনা বাড়ে।
এরপরই দিলীপের নিরাপত্তায় থাকা জওয়ানদের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। একই সঙ্গে, ইটবৃষ্টির কারণে কয়েকজন জওয়ান আহত হন বলেও অভিযোগ।
দিলীপ ঘোষের দাবি, পুরো ঘটনাটাই পরিকল্পিত। তৃণমূলের গুন্ডারা বিজেপি কর্মীদের মারধর করেছে, এজেন্টকে বুথে ঢুকতে দেয়নি, তাই তিনি এলাকায় এসেছেন পরিস্থিতি বুঝে নিতে। গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ায় ঘটনা পুরোটাই তৃণমূলের নাটক বলে কটাক্ষ করেছেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা লাঠি হাতে তাড়া পর্যন্ত করেন তৃণমূল কর্মীদের।
ভোটের দিন বর্ধমান-দুর্গাপুরের সেই দুই প্রার্থী দিলীপ ঘোষ ও কীর্তি আজাদ মুখোমুখি হয়েছিলেন এই মন্তেশ্বর বিধানসভার কুসুমগ্রাম বাজারে। তখন পর্যন্ত বোঝা যায়নি পরিস্থিতি এমন হয়ে যাবে। কারণ দেখা হতেই দিলীপ-কীর্তি দুজনেই হাত জোড় করে এগিয়ে যান। হাসিমুখে বাক্য বিনিময়ও হয় তাঁদের মধ্যে। আলিঙ্গনও করেন দুজন দুজনকে। এই সৌজন্যের পরই অশান্তির ছবি মন্তেশ্বরে।
ঘটনা জানাজানি হতেই সিইও-কে পোন করে মন্তেশ্বরের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হয় দিল্নিলির র্বাচন কমিশনের দফতর থেকে।