দিঘা: পূর্ব মেদিনীপুরের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র দিঘা (Digha) এবার প্রথমবারের মতো মহাধুমধামের সঙ্গে রথযাত্রা উৎসবের সাক্ষী হতে চলেছে। আগামী শুক্রবার (২৭ জুন ২০২৫) দিঘায় (Digha) ঐতিহাসিক রথযাত্রার দিন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই দিঘায় পৌঁছে গিয়েছেন, এবং এই উৎসবে তাঁর উপস্থিতি আরও বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে গোটা আয়োজনকে।
বিশেষ ট্রেন পরিষেবা রথযাত্রার জন্য:
রথযাত্রার আগেই ভক্ত ও দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য পূর্ব রেল দিঘাগামী একজোড়া বিশেষ লোকাল ট্রেন চালু করেছে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৫ জুন (বুধবার) থেকেই এই ট্রেন পরিষেবা শুরু হয়েছে এবং চলবে আগামী ১০ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত।
বিশেষ ট্রেনগুলির সময়সূচি নিম্নরূপ:
পাঁশকুড়া থেকে দিঘাগামী আপ লোকাল: সকাল ৭টা
দিঘা থেকে পাঁশকুড়া: সকাল ৯টা ২০ মিনিটে
ডাউন দিঘা লোকাল: সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে
পাঁশকুড়া থেকে দিঘা: সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে
পাঁশকুড়া থেকে দিঘা: দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে
দিঘা (Digha) থেকে পাঁশকুড়া: দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে
এই ট্রেনগুলি মূলত রথযাত্রার দিন ও ঘোরার দিনগুলিতে ভক্তদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য চালানো হচ্ছে।
প্রশাসনিক প্রস্তুতি তুঙ্গে:
দিঘায় (Digha) রথযাত্রার প্রথম আয়োজন হওয়ায় প্রশাসনিক তৎপরতাও তুঙ্গে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ও রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতায় এবার বিশেষ ভূমিকা নিচ্ছে কলকাতা পুলিশও। ভিড় সামলাতে ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের ১০ জন ট্রাফিক সার্জেন্ট দিঘায় রওনা দিয়েছেন।
রাজ্য পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “দিঘার (Digha) রথযাত্রা এবার এক ঐতিহাসিক ইভেন্ট হতে চলেছে। ভিড় সামাল দিতে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।”
মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি:
উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল ২০২৫ সালে দিঘার (Digha) নতুন জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর এই বছরই প্রথম রথযাত্রার আয়োজন। তাঁর এই উপস্থিতি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা এবং পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ভিড় ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা:
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকেই দিঘা জগন্নাথ মন্দির চত্বর, রথ মঞ্চ এবং আশপাশের এলাকায় টাইট নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ভিড় নিয়ন্ত্রণে ড্রোন নজরদারি, সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ এবং রুট ম্যাপ অনুযায়ী ট্রাফিক ডাইভারশন করা হচ্ছে। ট্রেন যাত্রীর সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে দিঘা স্টেশনেও বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
স্থানীয়দের উচ্ছ্বাস:
দিঘার স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে হোটেল মালিকরাও বলছেন, “এই প্রথমবার দিঘায় এমন বড় রথযাত্রা, পর্যটক সংখ্যা অনেক বাড়বে বলে আশা করছি। হোটেল বুকিং প্রায় ফুল।”