গত শনিবার ৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছিল মহানগরী (Sreelekha)। সেদিন অভয়া কাণ্ডের বছর পূর্তিতে রাস্তায় নেমেছিল বিজেপির একাংশ এবং অভয়া পরিবার। বিজেপিকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও সেই নবান্ন অভিযান কিছুটা এগোলেও পার্ক স্ট্রিট এ গিয়ে পুলিশের তৎপরতায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
চলে লাঠি আহত হন অভয়ার মা সহ আরও অনেক বিজেপি কর্মী। ঠিক সেই দিন ই বাম বাহিনী এবং ডক্টরস ফ্রন্ট একসাথে কালীঘাট অভিযান করে। কিন্তু সেখানেও পুলিশের গার্ডরেলে আটকে যায় কালীঘাট চলো প্রতিবাদ। বাধ্য হয়ে হাজরা মোড়েই জনসভা করার সিদ্ধান্ত নেয় বামেরা। সেই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন টলি পাড়ার বহুল চর্চিত অভিনেত্র্রী শ্রীলেখা মিত্র থেকে শুরু করে বাদশা মৈত্র।
ছিলেন তৃণমূলের ছোড়া বোমের আঘাতে মৃত্যু হওয়া তামান্নার মা ও। সেই প্রতিবাদ সভার মঞ্চে এক এক করে সবাই বক্তৃতা করেন। তার সঙ্গে জ্বালাময়ী এবং বিতর্কিত বক্তৃতা করেন শ্রীলেখা মিত্র। প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে তিনি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নাম করে তাকে ডাইনি বলে সম্বোধন করেছিলেন। তার সঙ্গে উচ্চারণ করেন কিছু অসাংবিধানিক ভাষা।
এই বক্তৃতা দেওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক এবং শিল্পী মহলে উঠেছিল গুঞ্জন বেড়েছিল চাপানউতোর। শ্রীলেখা বা বাম সমর্থকদের একাংশ এই বক্তৃতাকে সাহসী তকমা দিলেও সমালোচকদের হাত থেকে রেহাই পাননি তিনি। নেট দুনিয়ায় এবং সামাজিক মাধ্যমে ট্রোলিংয়ের শিকার হতে হয় শ্রীলেখাকে।
ঠিক তার কয়েকদিনের মধ্যেই শ্রীলেখাকে বয়কটের ডাক দিয়ে বাড়ির সামনে লাগানো হয়েছে পোস্টার। পোস্টারটিতে লেখা আছে শ্রীলেখা মিত্রকে সামাজিকভাবে বয়কট করা হোক। এই পোস্টার নিয়ে এবার নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। বাম সমর্থকদের একাংশ তাদের প্রতিক্রিয়াতে বলেছেন এই ঘটনা সত্যি কথা বলার ফল।
সেদিনের সেই সাহসী বক্তৃতার কারণেই শাসকের রোষে পড়তে হয়েছে শ্রীলেখাকে। আর এক দল তারা শ্রীলেখার এই বক্ত্যব্যকে সমর্থন করেননি এবং এই পোস্টার সম্পর্কে বলেছেন শ্রীলেখা যে ধরণের অসাংবিধানিক ভাষা ব্যবহার করেছে তা কখনোই সমর্থন যোগ্য নয়। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে শ্রীলেখা রাজনীতির ভাষা জানেন না আর না হয় তিনি কোথায় কি বলতে হয় ভুলে গেছেন।
উত্তরাঞ্চলে চা শিল্পে বৃষ্টির আশীর্বাদ: উৎপাদন ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে আশাবাদী চাষিরা
তারা আরও বলেছেন যে রাজনীতি রাজনীতির জায়গায় কিন্ত শালীনতার মাত্রা ছাড়ানো উচিত নয়। নেট দুনিয়ার একাংশ সমালোচনা করে বলেছেন শ্রীলেখা বরাবর ই ঠোঁট কাটা। একটা সময় অভিনয় জগতের কিছু বিতর্কিত ঘটনা তিনি সামনে এনেদছিলেন এবং তারপরে ইন্ডাস্ট্রি থেকে কার্যত তাকে বয়কট করা হয়। তবে যাই হোক রাজনীতিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকতেই পারে থাকেও কিন্তু একজন মুখ্যমন্ত্রী সম্বন্ধে এই ধরণের অশালীন আচরণ কখনোই কাম্য নয় বলেই মনে করছেন সিংহভাগ মানুষ।