চলতি মাসের শুরুতেই কাঁথির প্রভাত কুমার কলেজের ময়দান থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) তুলোধোনা করেছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর আগামীকাল কাঁথি থেকেই পাল্টা জবাব দেবেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর এই সভার তাৎপর্য বাড়িয়েছে তাঁর ২১ এর ডেটলাইন। আগামীকালের সভার আগে দিল্লিতে কিছুটা সুর নরম শুভেন্দুর। তবে কী ব্যাকফুটে গিয়েই আক্রমণ শানাবেন? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে৷
ডিসেম্বর মাসে ১২, ১৪ এবং ২১ এর ওপর নজর রাখতে বলেছিলেন শুভেন্দু। আগামীকাল তার শেষ দিন। এর আগে দিল্লিতে আলাদা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে একান্তে বৈঠক সেরেছেন। আচমকা সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছেও তুলে ধরেছেন একাধিক অভিযোগ। আগামীকালের সভা থেকেই সবটা মিলিয়ে বার্তা দেবেন বিরোধী দলনেতা?
এই মুহুর্তে ১০০ দিনের কাজের টাকা এবং আবাস যোজনার টাকা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। প্রতিদিন সার্ভে করতে গিয়ে নানা অভিযোগ উঠে আসছে। এমনকি সার্ভে করতে যাওয়া ব্যক্তিদের ওপরেও হামলার অভিযোগ উঠছে। আগামীকালের সভা থেকে শুভেন্দু যে একেবারে এলাকা ধরে ধরে আক্রমণ শানাবেন সেটাই ধরে নিচ্ছে রাজনৈতিক মহল।
তবে শুভেন্দুর দেওয়া তিন ডেটলাইনের মধ্যে ১২ ও ১৪ ডিসেম্বর দুটি ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে শোরগল ফেলে দিয়েছিল৷ যার মধ্যে একটি হল বগটুই ঘটনার অন্যতম অভিযূক্ত লালন শেখের মৃত্যু। দ্বিতীয়টা, আসানসোলের কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে ৩ জনের মৃত্যু। সেটাই বিজেপির তুলনায় শাসক দল তৃণমূলের পালে হাওয়া লাগিয়েছে।
২১ ডিসেম্বর শুভেন্দুর কাঁথির সভার আগে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, সবাই কাল বিজেপির থেকে দূরে থাকবেন৷ তবে কী আগামীকালেও কোনও ঘটনা ঘটতে পারে? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমত অবস্থায় কিছুটা ব্যাকফুটে হেঁটেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক৷ জানিয়েছেন, আগামীকাল যা বলার সভা থেকে বলবেন৷ এখন কিছুই ইঙ্গিত দিতে চাইছেন না৷