Egra Blast: এগরা বিস্ফোরণে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা, ‘সব জানে পুলিশ’ বলে পেটাল জনতা

এগরায় বিস্ফোরণের (Egra Blast) পর তদন্ত করতে গিয়ে উত্তেজিত গ্রামবাসীদের হাতে মারধর খেয়ে দৌড়ে পালাচ্ছে পুলিশ! এমনই ছবি ঘিরে আরও বিতর্ক। বিস্ফোরণস্থল খাদিকুল গ্রামের বাসিন্দারা…

এগরায় বিস্ফোরণের (Egra Blast) পর তদন্ত করতে গিয়ে উত্তেজিত গ্রামবাসীদের হাতে মারধর খেয়ে দৌড়ে পালাচ্ছে পুলিশ! এমনই ছবি ঘিরে আরও বিতর্ক। বিস্ফোরণস্থল খাদিকুল গ্রামের বাসিন্দারা সরাসরি অভিযোগ করছেন, বেআইনি এই বাজি তৈরির কারখানা চলছিল তা পুলিশ জানে। কারখানা থেকে টাকা পেত পুলিশ। উত্তেজিত গ্রামবাসীরা লাঠি নিয়ে পুলিশ কনস্টেবলদের দিকে তেড়ে গিয়ে মারতে থাকেন। ঘিরে ধরে শুরু হয় মার। মার খেয়ে কোনওরকমে সরে যায় পুলিশ।

পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার সাহারা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার  খাদিকুল গ্রামে বাজি তৈরির কারখানায় বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। নিহতদের প্লাস্টিকে মুড়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় বিক্ষোভ আরও ছড়ায়। ঘটনাস্থলে যান ডিআইজি মেদিনীপুর বেঞ্চ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা পুলিশ সুপার অমরনাথ কে সহ পুলিশের বড় কর্তারা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই বেআইনি বাজি কারখানা চলছিল। পুলিশ সব জেনেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। যদি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হত তাহলে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি হত না।

খাদিকুল গ্রাম এগরা ব্লকের সাহারা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। এই পঞ্চায়েত বিজেপির বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন দু মাস আগে বিজেপি ওই এলাকায় নির্দলকে সমর্থন করে পঞ্চায়েত তৈরি করেছে।

বিস্ফোরণ হয়েছে যার বাড়িতে সেই ভানু বাগ পলাতক। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওই বাজি কারখানার মালিক ওড়িশায় পালিয়েছে। ওখানে বেআইনি বাজি তৈরি করে ওড়িশায় চালান দেওয়া হত। জেলা পুলিশ জানাচ্ছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আগেও গ্রেফতার করা হয়। সে জামিনে বেরিয়ে এসে গোপনে ফের বাজির কারখানা চালু করেছিল।