মু়খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছেন, কোনও অবস্থায় বনধ মেনে নেবে না রাজ্য সরকার। তাঁর হুঁশিয়ারিতে চিঁড়ে ভেজেনি গোর্খাল্যান্ডের দাবিদার বিনয় তামাং ও অজয় এডওয়ার্ডদের। নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকেই বৃহস্পতিবার দার্জিলিং (Darjeeling) ও কালিম্পং জেলার পাহাড়ি এলাকায় বনধ হবে বলে জানানো হয়েছে। আগামিকাল থেকে শুরু মাধ্যমিক পরীক্ষা। এদিকে বনধের প্রভাবে পাহাড়ি এলাকা থেকে সমতলের দিকে যাতায়াত থমকে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। প্রশাসন বনধ রুখবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিধানসভায় রাজ্য ভাগ দাবির বিপক্ষে প্রস্তাব পাশ হবার পর গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে গরম হাওয়া পাহাড়ে। দাবি মেনে নেওয়া না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বনধ ঘোষনা করতে পারেন বিনয় তামাংরা। তারা জানিয়েছেন তারাও চিন্তা করেন পাহাড়ের ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত নিয়ে কিন্তুু তাদের বিষয়টা অনেক অনেক গুরুতর।
একদা মমতা ঘনিষ্ঠ বিনয় তামাং জানিয়েছেন তারা জানেন বনধ্ এর কারণে ভেঙে পড়তে পারে পাহাড়ের সামগ্রিক পরিষেবা। বিপর্যয় নামতে পারে। কিন্তু পাহাড় বনধ্ ছাড়া উপায় নেই।
বনধ্ হচ্ছে জেনে নেমে আসছেন অধিকাংশ পর্যটক। হোটেলগুলি খালি হতে শুরু করেছে। অনেকেই শিলিগুড়ি ও এনজেপি ফিরে এসেছেন। পাহাড়ের পর্যটনে আবার অশানি সংঙ্কেত দেখা দিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার বিধায়ক শান্তা ছেত্রী জানিয়েছেন বনধ্ হবে না। প্রশাসন কড়া হাতে বনধ্ এর মোকাবিলা করবে। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এর ফলে পাহাড়ে আবার অশান্তি মাথা চাড়া দেবে।