কলকাতা: পুজোর আগে কি বকেয়া ডিএ (DA) পাবেন? বর্তমানে এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আলোচনায়। গত ১৬ মে রাজ্যসরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ-এর ২৫% মেটানোর অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। যার সওয়াল জবাবে রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়, বকেয়া মেটাতে রাজ্য সরকারের অর্থভাণ্ডারে টান পড়বে।
বর্তমানে কেন্দ্র সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার (DA) ফারাক ৩৭%! যেখানে ৫৫% হারে ডিএ পাচ্ছেন কেন্দ্র সরকারের কর্মচারীরা, রাজ্য সরকারের ক্ষেত্রে সেটি মোটে ১৮%। গত ৪ আগস্ট বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চের সামনে রাজ্য সরকারের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী এবং অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, “কলকাতা হাইকোর্ট বা ট্রাইবুন্যালে কেউই টাকার অঙ্ক নির্দিষ্ট না করায় তা করতে সময় লাগবে”।
ডিএ মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি চায় আদালত বলে জানিয়েছিল বিচারপতি সঞ্জয় করোল ও বিচারপতি পি কে মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চ। বস্তুত, সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী নির্দেশের পর থেকেই ২৫% ডিএ পাওয়ার আশায় বুক বাঁধছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। মেলা, খেলা, ভাতা, অনুদান, প্রকল্পের সময় হাত খুলে টাকা দেওয়া হলেও সরকারি কর্মীদের ন্যায্য পাওনা মেটানোর সময়ই কোষাগারে টান পড়ে বলে অভিযোগ সরকারি কর্মচারীদের।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের হারে ডিএ (DA) দেওয়ার দাবী জানিয়ে মামলা দায়ের করেছিল রাজ্য সরকারের কর্মচারীরা। প্রথমে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (এসএটি) ও কলকাতা হাই কোর্টে মামলা শুরু হয়, যা পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টে ওঠে। ২০২২ সালে কলকাতা হাই কোর্ট সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে রায় দিয়েছিল, যেখানে বলা হয়েছিল, রাজ্য সরকারের কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় হারের ডিএ পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু রাজ্য সরকার রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে।