শনি-রবির মধ্যে ‘ফেনজাল’ (Fenjal) ঘূর্ণিঝড় (Cyclone), বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) জারি সতর্কতা (Alert)। বঙ্গোপসাগরে নতুন নিম্নচাপ সৃষ্টির পর আবহাওয়ার পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এই নিম্নচাপটি আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone) পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যার ফলে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলীয় রাজ্যগুলো, বিশেষ করে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, এবং কেরালা, ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। বঙ্গোপসাগরে এমন সাইক্লোনের পূর্বাভাস ভারতীয় উপকূলের বাসিন্দাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আইএমডি (ইন্ডিয়ান মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট) এর পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই নিম্নচাপটি মূলত দক্ষিণ আন্দামান সাগরের কাছাকাছি অবস্থান করছে এবং এটি দ্রুত শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। বর্তমানে বাতাসের গতি ও সমুদ্রের পরিস্থিতি এমনভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে যে, এর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, আবহাওয়া দফতর সতর্ক করেছে যে, এই সিস্টেমটি সম্পর্কে বিস্তারিত পূর্বাভাস দিতে এখনও সময় রয়েছে। কারণ সিস্টেমটি যদি ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone) পরিণত হয়, তবে তখনই তার গতিপথ, তীব্রতা এবং সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হবে।
বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) নভেম্বর মাসে ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) সৃষ্টি হয়ে থাকে। আগের বছরের তুলনায় এবছরও এই সময়ের মধ্যে একাধিক সাইক্লোনের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে এই সিস্টেমটি উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে, যা বিশেষত মাছ ধরার নৌকা এবং উপকূলবর্তী এলাকা যেখানে মানুষের বসবাস, সেখানে বিপজ্জনক হতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে, আবহাওয়া দফতর প্রতিটি রাজ্যকে প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে, দক্ষিণ ভারতের উপকূলীয় রাজ্যগুলোতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে, এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের এবং স্থানীয় প্রশাসনকে জরুরি প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া, মৎস্যজীবীদের সমুদ্রের কাছাকাছি না যেতে এবং সমস্ত জলযানগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, রাজ্য সরকারগুলোকেও দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য জরুরি অবস্থা ব্যবস্থা তৈরি করতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) সম্ভাবনা মাথায় রেখে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় এই মুহূর্তে কেবল সতর্কতাই কার্যকরী হতে পারে, যতক্ষণ না নিম্নচাপটি আরও গভীর হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।
আবহাওয়া দফতরের মতে, সিস্টেমটি যে ধরনের পরিবর্তন করছে এবং বায়ুর গতি যেভাবে পাল্টাচ্ছে, তাতে এটি ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone) পরিণত হওয়ার একেবারে সঠিক সময় আসতে পারে। তবে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সিস্টেমটির গতিপথ এবং শক্তি নিয়ে আরও কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করতে হবে। সেই অনুযায়ী, শেষ পর্যন্ত তার তীব্রতা এবং প্রভাব সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে, তটরেখা এবং সমুদ্রপথে যাতায়াতকারী সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন এবং সিভিল ডিফেন্স টিমকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।