আসছে ঘূর্ণিঝড় অশনি (Cyclone Asani)। সাগর ফুঁসছে। প্রতিবছরের ঝড়ে নদী থেকে জল ঢুকে বিপদ বাড়তে শুরু করবে সুন্দরবনের এলাকাতে। সুন্দরবনে অশনী সংকেত দেখা দিতেই শুরু হয়েছে বাঁধ নির্মাণের কাজ। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার মৌসুনী দ্বীপ এবং সাগরের ঘোড়ামারা দ্বীপের বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। ঝড়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে নদী থেকে নৌকা তুলে রাখছেন মৎস্যজীবীরা। আগের ঘূর্ণিঝড়গুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে লঞ্চ, বোটগুলিকে অরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা আর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়ার পরেই জরুরি বিভাগগুলির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করা হয়েছে। প্রতিটি মহকুমা শাসকের দফতর এবং বিডিও অফিসগুলিতে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে পাঁচটি ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম তৈরি রাখা হয়েছে। প্রতিটি টিমে ২০ জন করে সিভিল ডিফেন্স সদস্য রয়েছেন। কোনও জায়গায় পরিস্থিতি খারাপ হলে তাঁরা উদ্ধারকাজে নামবেন। সেইসঙ্গে এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।
সাইক্লোন শেল্টারগুলিতে উদ্ধারের জন্য পর্যাপত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাঁদের মাটির অথবা কাঁচা বাড়ি, তাঁদেরকে সময় মট শেল্টার হোমে চলে যাওয়্রা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘা, রামনগর, মন্দারমণি এলাকায় চলছে কড়া নজরদারি। উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ, সন্দেশখালি ও সুন্দরবন সংলগ্ন কিছু এলাকার গ্রাম থেকে বাসিন্দাদের সরানো শুরু হয়েছে।