শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে আগেই নিজের ভক্তব্য স্পষ্ট করেছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান স্বয়ং। এসবের মধ্যেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওটা অভিয়োগের তদন্ত শুরু করছেন কলকাতা পুলিশ। ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আট সদস্যের সিট গঠন করেছে লালবাজার। রাজভবনের ওসির কাছে সেদিনের ঘটনার ভিডিও ফুটেজও চেয়েছে পুলিশ। কলকাতা পুলিশের এই তৎপরতায় ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, এবার রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছেন সি ভি আনন্দ বোস।
রাজভবনের অস্থায়ী এক মহিলা কর্মচারীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর বিবৃতি দিয়ে রাজ্যপাল বোস রাজভবনের স্থায়ী, অস্থায়ী কর্মীদের জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে পুলিশ কোনও রকম তথ্য চাইলে তা না দিতে। আনন্দ বোসের যুক্তি, সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যপালদের বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি পদক্ষেপ করা যায় না। তবুও পুলিশ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দেখে অসন্তুষ্ট রাজ্যপাল। পুরোটাই ‘বেআইনি’ বলে দাবি তাঁর।
আরও পড়ুন- Abhishek Banerjee: মারকাটারি চ্যালেঞ্জ অভিষেকের, অক্ষয় তৃতীয়ার দিনই বড় কর্মযজ্ঞে তৃণমূল ‘সেনাপতি’
গত বৃহস্পতিবার ওঠা অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন রাজ্যপাল। তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নোংরা রাজনীতি করছেন। আমি যতই রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকতে চাই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে ততই রাজনীতিতে টেনে আনছেন।’ বিবৃতির সঙ্গেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে, রাজ্যপাল বেশ কিছু বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী। যেখানে কোনও আদালতের কাছে তাঁরা জবাবদিহি করেন না। পদে থাকাকালীন কোনও রাজ্যের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ফৌজদারি প্রক্রিয়া চালানো যায় না।