ক্ষমতাচ্যুত হবার পর থেকে কোণঠাসা (CPIM) সিপিআইএম ফের পুরনো ছকে ! রাজ্য জুড়ে দলটির কৃষক ও ক্ষেতমজুর শাখা সংগঠনের গ্রামীণ পাড়া বৈঠকে জমজমাট ভিড়। যেমনটা ছিল সত্তর ও আশির দশকে। সেই চেনা ছকে ফের নিজেদের ভোট রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক করার মরিয়া চেষ্টা করছে পূর্বতন শাসকদল।
রাজ্য জুড়ে সিপিআইএমের কৃষকসভার নেতৃত্বে চলছে পাট্টা জমি পুনরুদ্ধার অভিযান। অভিযোগ, গত বাম জমানায় যে জমির পাট্টা পেয়েছিলেন কৃষকরা তা তৃণমূল আমলে ফের বেহাত হচ্ছে। এ নিয়ে আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি লাল পতাকা পুঁতে পাট্টা জমি পুররায় দখল করছেন কৃষকরা। উল্লেখ্য জমি পুনরুদ্ধারের সময় সিপিআইএমের গরম মেজাজ থেকে দূরত্ব রাখছে তৃণমূল।
কৃষকসভার তরফে জানা যাচ্ছে, জমি পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি, আদালতের রায় মেনে অবিলম্বে ১০০ দিনের কাজ শুরু করতে হবে এই দাবিতে জেলায় জেলায় চলছে সংগঠনিক বৈঠক।
সিপিআইএম বীরভূম জেলা কমিটি সূত্রে খবর, ১০০ দিনের কাজকে ২০০ দিন করতে হবে, মজুরি ৬০০ টাকা করতে হবে, ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তৃণমূল নেতাদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি দিতে হবে এই দাবীতে আগামী ২ সেপ্টেম্বর সারা ভারত কৃষক সভা ও সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়ন রামপুরহাট-১ ব্লক কমিটি বিডিও অফিস অভিযানের ডাক দিয়েছে।
কেষ্ট-কাজলের জেলায় বাম ঝড়?
বীরভূম জেলায় তৃণমূল দুই শিবিরে বিভক্ত। অনুব্রত মণ্ডল (কেষ্ট) ও কাজল শেখের মধ্যে বিবাদ স্পষ্ট। এই বিবাদ মেটাতে পারেননি তৃণমূল নেত্রী মমতা। এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মধ্যেই জেলায় সিপিআইএমের সাংগঠনিক তৎপরতা চলছে। কৃষকসভা জানিয়েছে, রামপুরহাটে প্রশাসনিক দফতরের অভিযান কর্মসূচি সফল করতে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কৃষক, খেতমজুরদের সভা।আদিবাসী মহিলারাদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য।
উত্তরেও কৃষকসভার মারমুখী বিক্ষোভ

কৃষকসভা সূত্রে জানা যাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গের মতো উত্তরবঙ্গেও চলছে সাংগঠনিক তৎপরতা। একশ দিনের কাজ ও জবকার্ডের দাবিতে শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর ও বস্তি সংগঠনের ডাকে জলপাইগুড়িতে বিডিও দপ্তর অভিযানে মানুষের ক্ষোভ চরম সীমায় পৌঁছায়। বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ির গেটের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিডিও অফিসে পৌঁছালো। পুলিশ আটকানো চেষ্টা করলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি তুষার ঘোষ সহ প্রতিবাদীরা বিডিও দপ্তরের সামনে বসে পড়েন। বিডিও স্মারকলিপি নিতে বাধ্য হন।