একুশে জুলাই সমাবেশ থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতার হুঙ্কার সিপিএমকে (CPIM) শূন্য থেকে মহাশূন্যে পাঠানো হবে। সোমবার তিনি এমন হুঙ্কার দেওয়ার বারো ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূলকে লাল চোখ দেখাল বাম সংগঠন কৃষকসভা। ফের পূর্ব বর্ধমান জেলায় বিপুল জমিতে সাংগঠনিক পতাকা পুঁতে পুনরায় দখল নিলেন কৃষক-ক্ষেতমজুররা। এই ঘটনা ঘটেছে জেলার খণ্ডঘোষে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই এলাকায় তৃণমূলের সঙ্গে টক্কর নিয়েছিল সিপিআইএম।
পূর্ব বর্ধমানের খন্ডঘোষের জুবিলা গ্রামে বিগত বাম আমলে জমির পাট্টা নেওয়া চাষীদের জমি বেদখল করেছিল জোতদাররা বলে অভিযোগ। বাম কৃষক সংগঠন সারা ভারত কৃষক সভার নেতৃত্বে লাল ঝান্ডা হাতে সেই জমি পুনরুদ্ধার করার ঘটনায় ফের চাঞ্চল্য।
দলে দলে কৃষকরা তাদের পরিবার সমেত জমি পুনর্দখলে লাল পতাকা নিয়ে চাষের জমিতে নেমে পড়েন। সেই সময় এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব নীরব ছিলেন। জানা গেছে প্রায় ১২ বিঘা জমি পুনর্দখল করেন কৃষকরা।

কৃষকসভার রাজ্য কমিটির সদস্য বিনোদ ঘোষ জানিয়েছেন, রাজ্য জুড়েই এমন অভিযান চলছে। অভিযোগ, বিএলআরও দফতরগুলিতে টাকা খাইয়ে বাম আমলে পাট্টা জমি ফের দখল করছে জোতদাররা। এর বিরুদ্ধে আইনি পথে যেমন লড়াই চলছে তেমনই পাট্টা জমি পুনর্দখল চলছে। তিনি জানান, শস্যগোলা পূর্ব বর্ধমানের কৃষি অঞ্চলের রায়না, খণ্ডঘোষ, ভাতার, বর্ধমান সদরের দুটি ব্লক, পূর্বস্থলী, কাটোয়া, কালনার বিস্তীর্ণ এলাকায় জমির আন্দোলন আরও তীব্র হচ্ছে।
সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের পর এবার খন্ডঘোষ এলাকায় জমি পুর্নদখল ঘিরে বাম শিবিরও গরম। কারণ গত বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে এলাকাগুলিতে বাম সংগঠনে ধস নেমেছিল। তবে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, কৃষকদের জমির অধিকার পেতে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া চলছে। সিপিআইএমের অভিযোগ, তৃণমূলেন প্রশাসনে টাকা ছাড়া কিছু হয় নাকি!