ধুন্ধুমার কাণ্ড পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরে। সঠিক সময়ে পুরনিগমের (DMC) ভোট না করিয়ে কেন প্রশাসক বসানো হয়েছে অভিযোগে নোটিশ জ্বালিয়ে দিলেন সিপিআইএম (CPIM) সমর্থকরা। এই ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য শিল্পনগরীতে (Durgapur)।
দুর্গাপুর পুরনিগমের পুরবোর্ডের ক্ষমতা জবরদখল তরে রাখতে চায় তৃ়ণমূল কংগ্রেস এমনই অভিযোগ সিপিআইএমের। আর তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, বামেরা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে শূন্য হয়ে গেছে। তাই এমন উগ্র রূপ দেখাচ্ছে। সিপিআইএমের দাবি, গণতান্ত্রিকভাবে লড়াই করার সাহস নেই তৃণমূলের। তাই পুরনিগমের ভোট স্থগিত করে প্রশাসক বসানো হচ্ছে।
সোমবার সেপ্টেম্বর শেষ হয়েছে দুর্গাপুর পুরনিগমের বর্তমান বোর্ডের মেয়াদ৷ প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন হন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়। তিনিই মেয়র ছিলেন। আর ভাইস চেয়ারপার্সন হন অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ছিলেন ডেপুটি মেয়র। সিপিআইএমের অভিযোগ, নির্বাচন বন্ধ রেখে ঘুরিয়ে পুরনিগমের ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া তৃ়ণমূল কংগ্রেস।
কেন দুর্গাপুর পুরনিগমের ভোট হবে না এই প্রশ্ন তুলে বুধবার সিপিআইএমের তরফে পুরনিগম ভবনের সামনে বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভকারীরা প্রশাসক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ছিঁড়ে পুড়িয়ে দেন। এর পরেই বিতর্কে জড়ায় সিপিআইএম। এভাবে কোনও বিজ্ঞপ্তি পোড়ানো যায় কিনা তা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহল গরম।
রাজ্যে গত পুরনিগম ভোটে সবকটিতে জয়ী হয় তৃ়ণমূল কংগ্রেস। সিপিআইএমের হাতছাড়া হয়েছে শিলিগুড়ি। কলকাতা, বিধাননগর, আসানসোল ও চন্দনগরে জয়ী হয় টিএমসি। তাৎপর্যপূর্ণ, কলকাতা সহ নগর নিগম ভোটে বিরোধী দল বিজেপির তুলনায় এগিয়ে সিপিআইএম। তবে হাওড়া ও দুর্গাপুর পুরনগিমের ভোট হওয়া নিয়ে বিতর্ক চলছে।
সম্প্রতি প্রতিবেশি জেলা পূর্ব বর্ধমানের সদর শহর বর্ধমানে সিপিআইএমের আইন অমান্য আন্দোলন থেকে মারমুখী সমর্থকরা বিশ্ব বাংলা লোগো দেওয়া স্ট্যাচু ভেঙে দেন। স্থানীয় বিধায়কের কার্যালয়ে হামলা করা হয়। দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা আভাস রায়চৌধুরী সহ কয়েকজন ছাত্র যুব নেতৃত্ব জেলে আছেন।