রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেড (ECL) বিক্রি করতে চলেছে কেন্দ্রের মোদী সরকার এমনই দাবি তুলে সংস্থার সদর দফতর ঘেরাও করলেন বাম সংগঠনের কয়লা শ্রমিকরা। সিপিআইএমের কোলিয়ারি মেনস শ্রমিক ইউনিয়ন (সিএমএসআই) নেতৃত্বে এই ঘেরাও আন্দোলনে দেশের অন্যান্য কয়লা ক্ষেত্র সরগরম।
রাষ্ট্রায়ত্ব কয়লা ক্ষেত্র ECL, CCL, BCCL অন্তর্ভুক্ত কয়লাখনি সর্বোৎকৃষ্ট কয়লার জন্য বিশ্ববিখ্যাত। সিংহভাগ কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলির অভিযোগ দেশের কয়লা সম্পদকে সম্পূর্ণ বেসরকারিকরণ করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার।
অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গে ইসিএলের সদর দফতরে অধীন খনি অঞ্চলে বাম শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলাকালীন এ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন কয়লা ক্ষেত্র বিক্রির বিরোধিতা থেকে দুরত্ব রাখে।
ইসিএলের সদর কার্যালয় পশ্চিম বর্ধমানের সাঁকতোড়িয়া। সেখানেই বাম সংগঠনের নেতৃত্বে শ্রমিকরা ঘেরাও করেন। তাদের দাবি, খনিগুলির বেসরকারিকরণ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। ‘কোল ইন্ডিয়া বাঁচাও, ইসিএল বাঁচাও, গ্রাম ও শহর বাঁচাও’ স্লোগান তুলে শতশত কয়লা শ্রমিক ইসিএল সদর দফতর ঘেরাও করে স্মারক লিপি জমা দেন।
সিপিআইএমের শ্রমিক শাখা সিআইটিউ (সিটু) জানিয়েছে, কয়লা শিল্প, বিশেষ করে কোল ইন্ডিয়া একটি গুরুতর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সরকার পুনরায় কোল ইন্ডিয়ার কয়লা খনিগুলিকে ব্যক্তিগত মালিকদের হাতে তুলে দিচ্ছে। বিলগ্নীকরণ, নির্দিষ্ট মেয়াদের নিয়োগ, বাণিজ্যিক খনন, প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ এর প্রত্যক্ষ উদাহরণ এর বিরুদ্ধে কয়লা শ্রমিকরা দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করেছেন।
অভিযোগ ইসিএলসহ অন্যান্য কয়লাক্ষেত্র লাভদায়ক হলেও মোদী সরকার চাইছে বেসরকারিকরণ। বাম সংগঠনের হুঁশিয়ারি বেসরকারিকরণ রুখতে তীব্র আন্দোলনে কয়লাক্ষেত্র অচল হয়ে যাবে।
সিটু জানিয়েছে, শ্রম কোডের বিরুদ্ধে এবং অন্যান্য দাবিতে গত ৯ই জুলাই দেশব্যাপী সফল ধর্মঘট হয়। এই ধর্মঘটে সারা দেশে কর্মরত প্রায় ৪ লক্ষ ২৫ হাজার কয়লা শ্রমিকের মধ্যে ৩ লক্ষ ২৫ হাজার কয়লা শ্রমিক অংশগ্রহণ করেছিলেন। ইসিএল অধীন পশ্চিমবঙ্গের কয়লা খনিগুলিতে শাসক শ্রেণীর গুন্ডা এবং প্রশাসনের জুলুম ও বাধা সত্ত্বেও ৭০ শতাংশের বেশি শ্রমিক ধর্মঘটে শামিল হয়েছিলেন। এতে উৎপাদনে প্রায় ৫১শতাংশ নেমে গিয়েছিল।