বেশ কয়েকমাস আগেই মুর্শিদাবাদে ঘটে গেছে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা (Murshidabad)। এই হিংসার ঘটনায় চন্দন দাস এবং হরগোবিন্দ দাস নামে পিতা এবং পুত্রের হত্যার ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছিল রাজনৈতিক মহল। জানা গিয়েছিল এই পিতা এবং পুত্র সক্রিয় ভাবে বামফ্রন্টের সাথে যুক্ত থেকে রাজনীতি করতেন। সম্প্রতি আইন জীবি তরুণ জ্যোতি তিওয়ারি তার এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন খুন হয়ে যাওয়া এই পিতা পুত্রের খুনি হিসেবে যারা অভিযুক্ত তাদের পক্ষ নিয়ে আদালতে লড়ছেন বাম সমর্থক আইজীবী সব্যসাচী ভট্টাচার্য। তরুণ জ্যোতি তার পোস্টে কিছুটা হতাশ হয়েই লিখেছেন সব্যসাচী একজন বাম সমর্থক হয়ে কিভাবে এই বাম সমর্থক পিতা পুত্রের হত্যাকারী অভিযুক্তদের পক্ষ নিতে পারেন। তিনি আরও বলেছেন যে শুধু কিছু টাকার জন্য কি দলগত আদর্শ বিকিয়ে দেওয়া যায়?
তরুণ জ্যোতি তিওয়ারি তাঁর পোস্টে আরও লিখেছেন, “আমরা যারা আইনজীবী, আমরা বিভিন্ন মামলায় মক্কেলদের হয়ে লড়ি—এটা আমাদের পেশাগত দায়িত্ব। কিন্তু যারা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত, তাদের কাঁধে থাকে আদর্শের প্রতি আনুগত্য এবং দলের প্রতি বাধ্যবাধকতা। সব্যসাচী ভট্টাচার্য একজন বামপন্থী নেতা হয়ে কীভাবে তাঁর দলেরই কর্মীদের হত্যাকারীদের পক্ষে আইনি লড়াই করতে পারেন?
শুধু কিছু টাকার জন্য কি আদর্শ বিক্রি করে দেওয়া যায়?” তিনি আরও প্রশ্ন তুলেছেন, বামফ্রন্ট যখন চন্দন দাস এবং হরগোবিন্দ দাসকে তাদের ‘শহীদ’ কর্মী বলে দাবি করে, তখন তাদেরই একজন নেতা কীভাবে হত্যাকারীদের পক্ষে দাঁড়াতে পারেন? এটি কি আদর্শের প্রতি ভণ্ডামি নয়?
সমালোচক মহলে এই পোস্ট নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনার ঝড়। সমালোচকরা বলছেন এই অভিযোগ যদি সত্য হয়, তবে এটি বামপন্থী আন্দোলনের জন্য একটি লজ্জাজনক ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হবে। বামফ্রন্ট দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের শ্রমিক-কৃষকের অধিকারের পক্ষে এবং সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দাবিদার হিসেবে পরিচিত।
বিভ্রান্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে গুজব, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাইবার আইনে পদক্ষেপের দাবি শুভেন্দুর
তাদের কর্মীদের হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযুক্তদের পক্ষে যদি তাদেরই একজন নেতা আইনি লড়াই করেন, তবে এটি দলের আদর্শের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। তরুণ জ্যোতি তিওয়ারি তাঁর পোস্টে এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “যে দলের নেতারা নিজেদের শহীদ কর্মীদের খুনিদের পক্ষে দাঁড়ায়, তাদের আদর্শের মূল্য কতটুকু? বামপন্থীদের উচিত নিজেদের দলের মধ্যে এই বিচ্যুতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা।”